মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইথিওপিয়ার টিগরে অঞ্চলের চলমান সংঘাতে আশপাশের দেশগুলোও আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ইরিত্রিয়ার রাজধানী আসমারায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এছাড়া বহু মানুষ প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে টিগরে এলাকাঘেঁষা সীমান্ত পেরিয়ে সুদানে চলে গেছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইথিওপিয়ার সরকার দাবি করেছে, উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য টাইগ্রে বাহিনী প্রতিবেশী অঞ্চলের একটি বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার রাতের এই হামলার ফলে টাইগ্রে নিয়ন্ত্রণকারী পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) ও সরকারের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে ইথিওপিয়া সরকার জানায়, সে দেশের আমহারা রাজ্যের দুটি শহরে গত শুক্রবার রকেট হামলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাহির দার ও গোন্দার শহর দুটিতে রকেট হামলা হলে সেখানকার বিমানবন্দর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় টিগরে এলাকায় স্থানীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। স্থানীয় বাহিনীগুলোর অভিযোগ, দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গত ৪ নভেম্বর টিগরেতে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর পর সেখানে শত শত লোক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ সুদানে পালিয়ে গেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, আরো অনেকেই সুদানের পথে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট টিগরেতে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটায় গতকাল শনিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম টিগরের মায় কাদরা অঞ্চলে কথিত গণহত্যার বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন সম্পর্কে ব্যাচেলেট বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।’
অ্যামনেস্টি বলছে, স্থির চিত্র ও ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে শত শত লোককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, মনে হচ্ছে এ ঘটনার শিকার লোকজন পেশায় দিনমজুর এবং তাঁরা সামরিক তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
কলভিল বলেন, ব্যাচেলেট আশঙ্কা করছেন যে এই সংঘাত অব্যাহত থাকলে তা সীমান্ত পেরিয়ে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং হয়তো পূর্ব আফ্রিকাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়া দুই দশকের লড়াই শেষে ২০১৮ সালে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ হয়। নতুন সংঘাতের ফলে তাদের মধ্যেও নতুন করে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ লড়াই আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ইথিওপিয়ার অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে ‘আফ্রিকার শিং’ হিসেবে পরিচিত পূর্ব আফ্রিকার এ অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন।
শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে ওই অঞ্চলের ১৪ হাজার ৫০০ বাসিন্দা পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয় নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।