মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন তার হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ হিসেবে বেছে নিয়েছেন রন ক্লেইনকে। বাইডেন টিমের স‚ত্র উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ১৯৮০র দশক থেকে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে জো বাইডেনের একজন সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছেন রন ক্লেইন। এছাড়া জো বাইডেন যখন ভাইস পেসিডেন্ট ছিলেন তখন তিনি চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হোয়াইট হাউজে একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর-এর চিফ অব স্টাফ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ‘রিকাউন্ট’ ছবিতে তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কেভিন স্পেসি। উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব হচ্ছে প্রেসিডেন্টর প্রতিদিনের কাজকর্মের সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া। কখনও কখনও এই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্টের রক্ষী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। একজন প্রেসিডেন্ট তার রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে তার চিফ অব স্টাফ নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। রন ক্লেইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘তার গভীর, বিচিত্র অভিজ্ঞতা এবং বর্ণালী রাজনীতিতে মানুষের সাথে তার কাজ করার ক্ষমতার জন্যই হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাকে বিশেষ প্রয়োজন। অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার না করে যখন গণতান্ত্রিক কাঠামো ও রীতিনীতির ধ্বংসলীলায় মেতেছেন, তখন এর জবাব দেওয়া কিংবা নিজের বাকচাতুর্য দেখানোর পরিবর্তে আরো শান্ত আচরণ করছেন বিজয়ী জো বাইডেন। খুব অল্প কথায় তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের আচরণ ‘বিব্রতকর’, তবে তাতে তার নিজের অগ্রগতি ব্যাহত হবে না। নির্বাচনের আগে দিয়ে রাখা হুমকি সত্যি করে ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। পরাজয় মানতে অস্বীকার করার পাশাপাশি তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছেন। গত সোমবার বরখাস্ত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারকে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরক্ষা দপ্তরের আরো তিন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা হয় বরখাস্ত হয়েছেন অথবা পদত্যাগ করেছেন। এসবের পাশাপাশি চলছে ভোট কারচুপির অভিযোগে ট্রাম্পের মামলার কার্যক্রম। তার এসব কর্মকাÐে দমে যাওয়ার পাত্র নন আত্মবিশ্বাসী বাইডেন। ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে সংবাদমাধ্যমকে হবু প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা এমন কিছুই দেখতে পাচ্ছি না, যা আমাদের গতি শিথিল করে দিতে পারে, খোলাখুলি বলছি।’ নির্বাচনে পরাজয় মানতে ট্রাম্পের অস্বীকৃতির বিষয়টি উল্লেখ করে বাইডেন আরো বলেন, ‘আমি স্রেফ মনে করি বিষয়টা বিব্রতকর, একেবারে নিঃসংকোচে বলছি।’ ট্রাম্পের মুখোমুখি হলে কী বলবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছিলাম।’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন—এমন ইঙ্গিত দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তারা (রিপাবলিকান) যে এখনো আমাদের জয় স্বীকার করতে চাচ্ছে না, তাতে আমাদের পরিকল্পনায় খুব একটা প্রভাব পড়বে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, দিন শেষে ২০ জানুয়ারির ফলই বাস্তবতা বাতলে দেবে এবং এখনকার আর তখনকার মাঝখানে আমার আশা-প্রত্যাশা হলো ক্ষমতার পালাবদলের বিষয়টা আমেরিকান জনগণ অবশ্যই জানবে ও বুঝবে।’ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলের ঘোষণা আসতে আসতে আগামী জানুয়ারি। তবে অনানুষ্ঠানিক ফলেই নিশ্চিত হয়ে গেছে বাইডেনের প্রেসিডেন্সি। কারণ ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের হিসাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে ফেলেছেন তিনি। এরই মধ্যে তার পক্ষে পড়েছে ২৯০ ভোট। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে প্রয়োজন হয় ২৭০টি। অথচ ট্রাম্প নাছোড়বান্দা। এএফপি, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।