নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত প্রথম স্পেলেই মোমেন্টামটা পেয়ে গিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পরে তাতে যোগ দেন জয়ন্ত যাদব, ন্যাথান কোল্টারনেইলরা। জসপ্রিত বুমরাহ উইকেট না পেলেও ছিলেন মিতব্যয়ী। শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পন্তের দুই ফিফটির পরও তাই মাঝারি প‚ঁজি পায় দিল্লি ক্যাপিটালস। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে নাগালে থাকা ওই লক্ষ্য পেরিয়ে আরও একবার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
গতপরশু রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রয়োদশ আসরের ফাইনালে দিল্লিকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইন্ডিয়ান্স। আগে ব্যাট করা দিল্লির ১৫৬ রান রোহিতের ফিফটিতে ৮ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বাই। অধিনায়ক খেলেন ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস। আসরে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে চারবারের দেখায় চারবারই হারল দিল্লি। প্রাথমিক পর্বে দুই ম্যাচের পর প্রথম কোয়ালিফায়ারেও হারের বিষাদ সঙ্গী হয়েছিল তাদের। এবার প্রথম ফাইনালে উঠেও শিরোপা অধরাই রয়ে গেল দিল্লির।
আইপিএলকে যেন নিজেদের প্রায় সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। একমাত্র দেশ হিসেবে ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জেতার নজির রয়েছে ব্রাজিলের। এবার ক্রিকেটের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে পাঁচবার শিরোপা নেয়ার কৃতিত্ব দেখাল মুম্বাই।
আইপিএলের সফলতম দল মুম্বাইয়ের এটি টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে পঞ্চম শিরোপা, সবগুলোই শেষ আট আসরে। এই শিরোপা দিয়ে নিজেদের রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করল তারা। টুর্নামেন্টের ১৩ বছরের পথচলায় মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রফি ধরে রাখার কীর্তিও গড়ল। আগে পরপর দুই শিরোপা ছিল কেবল চেন্নাই সুপার কিংসের।
সর্বপ্রথম মুম্বাই শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জিতে তারা। এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০১৭ সালে ফের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় রোহিতের। ২০১৭ সালের পর আবারো এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০১৯ সালে চতুর্থবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বাই। এবার আর বিরতি নয়, ২০২০ সালেই পঞ্চম শিরোপাটিও জয় করে নিল তারা। মুম্বাইয়ের পঞ্চম হলেও অধিনায়ক হিসেবে ষষ্ঠ শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন রোহিত। ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সকেও শিরোপা জিতিয়েছিলেন ভারতীয় ওপেনার।
প্রাথমিকভাবে এবারের আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল গত মার্চে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা পিছিয়ে দেওয়া হয় দুই দফা। অনেক টানাপোড়েনের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে দলগুলো থেকেছে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে, সব ম্যাচই হয়েছে দর্শকশূন্য মাঠে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দিল্লি ক্যাপিটালস : ২০ ওভারে ১৫৬/৭ (ধাওয়ান ১৫, শ্রেয়াস ৬৫*, পান্ত ৫৬, হেটমায়ার ৫, প্যাটেল ৯; বোল্ট ৩/৩০, বুমরাহ ০/২৮, জয়ন্ত ১/২৫, কোল্টারনেইল ২/২৯, পোলার্ড ০/১৩)। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : ১৮.৪ ওভারে ১৫৭/৫ (রোহিত ৬৮, ডি কক ২০, স‚র্যকুমার ১৯, ইশান ৩৩*, পোলার্ড ৯; অশ্বিন ০/২৮, রাবাদা ১/৩২, নরকিয়া ২/২৫, স্টয়নিস ১/২৩)। ফল : মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ফাইনাল : ট্রেন্ট বোল্ট (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)। প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট : জফরা আর্চার (রাজস্থান রয়্যালস)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।