পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা’ গ্রহণ করেননি আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরা গত ১ ফেব্রুয়ারি এ প্রতিবেদন সম্প্রচার করে। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রতিবেদন তৈরি এবং সম্প্রচারের সঙ্গে জড়িত চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’র সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। মামলায় আল-জাজিরার ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তফা সউয়াগ, শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজ’র সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান।
আবেদনে আলজাজিরার প্রতিবেদনকে ‘রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী’ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের বিচার প্রার্থনা করা হয়। ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করলেও কোনো আদেশ দেননি। ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনামহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত রয়েছেন। আসামিরা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া, মিথ্যা তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী প্রতিবেদন প্রচার করে। ওই প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। যা পরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
আর্জিতে আরো বলা হয়, আসামিরা প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে এবং তথ্য-উপাত্ত বা দলিলাদি উপস্থাপন না করেই ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ও সাক্ষাতকারের ছবি ব্যবহার করে, কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও সাজানো তথ্যচিত্র তৈরি করে। তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আলজাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে অপপ্রচার করেছে। যা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে। এ কর্মকান্ডের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছেন।
এ আর্জির ওপর শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত মামলাটি ফেরত দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।