নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দোল উৎসবে মাতোয়ারা গোটা ভারত। রঙের খেলায় মেতেছেন রাজনীতিবিদ, অভিনয় জগতের কলাকুশলী থেকে খেলার দুনিয়ার তারকারাও। শচীন তেণ্ডুলকর, বিরাট কোহলিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবাসীকে হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু সেই শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েই চূড়ান্ত ট্রোলের মুখে পড়লেন ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের একাংশ।
তা হোলিতে কী এমন পোস্ট করলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত, যাতে নেটিজেনদের রোষানলে পড়তে হল তাকে? আসলে ইনস্টাগ্রামে একটি মজার ভিডিও পোস্ট করেন ভারতীয় দলের হিটম্যান। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মজার ছলে নেটিজেনদের হোলির শুভেচ্ছা জানানোর চেষ্টা করছেন তিনি। পাশে রয়েছেন তার স্ত্রী ঋতিকাও। তিনি আবার বলে দিচ্ছেন কীভাবে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। ভিডিওটি নিয়ে কারও কোনও আপত্তি না থাকলেও যত রাগ গিয়ে পড়েছে তার ক্যাপশনে।
ক্যাপশনে রোহিত লিখেছেন, “সকলকে হোলির শুভেচ্ছা। সবাই আনন্দ করুন। কিন্তু আমাদের পোষ্য বন্ধুদের কথা মনে রাখবেন। তাদের গায়ে রং দেবেন না।” এই ক্যাপশন পড়েই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে নেটিজেনদের একাংশ। তাদের দাবি, যিনি খেলার মাঝে গোমাংস খান, তার মুখে সারমেয়দের নিয়ে এই দুশ্চিন্তা একেবারে বেমানান। রোহিতের থেকে এ ধরনের পরামর্শ নিতে রাজি নন তারা।
এ নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে টুইটার। অনেকেই তীব্র কটাক্ষ করে লেখেন, “বিফ, মুরগির মাংস খেয়ে আবার সারমেয়দের নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন।” এমনকী, রোহিতকে ‘নির্লজ্জ’ বলতেও ছাড়েননি অনেকে। কেউ কেউ আবার রোহিতপত্নী ঋতিকাকে টেনে এনেছেন এই আলোচনায়। আর তাতেই এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ট্রেন্ডিং হয়ে যায়, হ্যাশট্যাগ “ঋতিকা আপনা কুত্তা সামাল”।
উল্লেখ্য, রোহিত শর্মাদের খাবারের মেনু ও বিল একবার প্রকাশ্যে আসতে দেখা গিয়েছিল, তারা গোমাংস খেয়েছেন। সে সময় বিষয়টি নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এবার সারমেয়দের প্রতি রোহিত সহানুভূতি দেখাতেই সেই প্রসঙ্গ উসকে দিলেন নেটিজেনরা। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।