Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মার্কিন নির্বাচনে গণআকাঙ্খার বিজয়

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

ইতোমধ্যে সবারই জানা হয়ে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেটি পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। পরাজিত হয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান বিশ্বের প্রধান পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব বিষয়ে বিশ্ববাসীর আগ্রহ বেশি। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়টির গুরুত্ব আরও বেশি। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রার্থী হওয়ায় মানুষের আগ্রহ সর্বাধিক হয়েছে। নির্বাচনের বহু পূর্ব থেকেই বিশ্ববাসী সজাগ দৃষ্টি রেখেছে এ নির্বাচনের প্রতি। কারণ, ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই তার রচিত ‘আমেরিকা ফার্স্ট নীতি’ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিশ্বব্যবস্থাকে তছনছ করে ফেলেছেন। একের পর এক দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সর্বাধিক আক্রমণের শিকার হয়েছে চীন, ইরান ও মুসলমানরা। তার ইহুদীপ্রীতি অতীত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তার প্রত্যক্ষ মদদে ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। ট্রাম্প নিজেও যুক্তরাষ্ট্রের নীতি লঙ্ঘন করে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি নীতি তথা ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’ ঘোষণা করেছেন, যা ফিলিস্তিন, মুসলিম দেশ, জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সর্বোপরি ট্রাম্প জাতিসংঘের বহু বিষয় থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অর্থাৎ ট্রাম্প বিশ্বের ‘বহুত্ববাদ’কে ধ্বংস করে ‘মার্কিনীত্ববাদ’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে সফল হননি, উল্টো দেশটিকে প্রায় একঘরে করে ফেলেছেন! দেশের অভ্যন্তরেও ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন নানা কর্মে, যার অন্যতম হচ্ছে, বর্ণবাদী ও জাতিগত বিভেদকে উসকে দেওয়া, ওমাবা কেয়ার বাতিল, প্রশাসন ব্যবস্থাকেও তছনছ করে ফেলা, প্রশাসনের লোকদের ইচ্ছামত বরখাস্ত ও নিয়োগ করা, করোনা মহামারিকে গুরুত্ব না দেওয়া ইত্যাদি। তাই তার অনেক নীতি প্রতিনিধি পরিষদে বাতিল হয়েছে। এমনকি গত ডিসেম্বরে তিনি অভিশংসন প্রস্তাবেরও মুখোমুখি হয়েছিলেন। এছাড়া, আদালতেও তার অনেক সিদ্ধান্ত-নীতি বাতিল হয়েছে। মিডিয়ার সঙ্গেও চরম খারাপ আচরণ করেছেন ট্রাম্প। এসব দুষ্কর্মের কারণে তিনি দেশ-বিদেশে সর্বাধিক সমালোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। তাই তার পুনরায় নির্বাচিত হওয়া নিয়ে বেশিরভাগ মানুষ উদ্বিগ্ন ছিলেন। মিডিয়ায়ও এ নির্বাচনের খবর ফলাও করে প্রচারিত হয়। ফলে মার্কিন এ নির্বাচন ‘টক অব দি ওয়ার্ল্ড’-এ পরিণত হয়। নির্বাচন নিয়ে জনমত জরিপের হিড়িক পড়ে যায় সেখানে। প্রতিটি জনমতই ট্রাম্পের বিপক্ষে যায়। তবুও তিনি সর্তক হননি। নির্বাচনকালেও একের পর এক কলঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেন। উপরন্তু নির্বাচনকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পিছপা হননি। ভোট গণনা বন্ধ করার জন্য জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগানে মামলা হয়। এছাড়া, নির্বাচনের আগেও ৪৪টি রাজ্যে তিন শতাধিক মামলা করা হয় ডাকযোগে ভোট দেওয়ার বিপক্ষে। তবে এসব মামলা টিকবে না বলে পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। ইতোমধ্যেই মিশিগান, পেনসিলভ্যানিয়া ও জর্জিয়ার মামলা খারিজ হয়েছে।

নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তীতে ট্রাম্প নানা মন্তব্য করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেন। যেমন: নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলেন। বেশিরভাগ রাজ্যের ভোট গণনায় বাইডেন ব্যাপকভাবে এগিয়ে থাকলেও তিনি নিজেকে জয়ী বলে ঘোষণা করেন এবং কয়েকটি রাজ্যের ভোট গণনা স্থগিত চেয়ে মামলা করেন। এমনকি গত ৫ নভেম্বরও এক টুইট বার্তায় বলেন, ভোট গণনা বন্ধ করুন।’ এর কড়া কড়া জবাব দেন ডেমোক্র্যাটরা। বাইডেনের প্রচারণা প্রধান জেন ও’ম্যালি ট্রাম্পের এমন বক্তব্যকে গর্হিত, নজিরবিহীন ও ত্রæটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেন। উপরন্তু দলটির নেতা-কর্মীরা সব ভোট গণনার দাবি জানান। ফেডারেল নির্বাচন কমিশনার এলেন ওয়াইনট্রাব বলেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সত্যিকারেই জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই। রাজনীতি বিষয়ক বিশ্লেষক, অধিকারকর্মীরা ছাড়াও খোদ রিপাবলিকান দলেই ব্যাপক সমালোচনা হয় ট্রাম্পের মন্তব্যের। এক রিপাবলিকান আইনজীবী তো প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে এমন বিতর্ক থেকে বিরত থাকতে বলেন। মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা প্রধান বলেন, নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দেশটির বিচারক ও বিশ্লেষকরা বলেন, ‘মামলা করা সহজ, কিন্তু এ ধরনের হাওয়াই অভিযোগ প্রমাণ করা বেশ কঠিন’। ফ্লোরিডার সাবেক হাউস রিপ্রেজেন্টিভ কার্লোস কার্বেলো বলেন, ‘আর কোনও ট্রাম্প আর কখনও হবে না। কপিক্যাটস ব্যর্থ হবে। তিনি ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাবেন, তবে আমেরিকার ইতিহাসের এই অশান্তিকাল থেকে প্রাপ্ত চিহ্নগুলি কখনই মুছে যাবে না। অপরদিকে ট্রাম্পের বিতর্কমূলক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বিদেশেও। ইইউ’র প্রধান কূটনীতিক জোসেপ বোরেল বলেন, ‘প্রতিযোগিতা যখন খুবই তীব্র, হাড্ডাহাড্ডি- তখন প্রতিটি ভোটই গণনা হওয়া উচিত। এ অবস্থায় কেউই বিজয়ী দাবি করতে পারেন না। কারণ, এমন দাবিকে সমর্থন করার পক্ষে কোনও ডাটা নেই। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র একটি অত্যন্ত বিস্ফোরণমূলক অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে। নির্বাচনে ট্রাম্পের অপরিপক্ব বিজয় ঘোষণায় সম্ভবত সিস্টেমিক ক্রাইসিসে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র।’ ওএসসিই বলেছে, ‘মার্কিন নির্বাচনকে আইনি অনিশ্চয়তা এবং জনগণের বিশ্বাসকে দুর্বল করার নজিরবিহীন প্রচেষ্টা কলঙ্কিত করেছে। কোভিড-১৯-এর কারণে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও নির্বাচনটি প্রতিযোগিতামূলক ও সুচারুভাবে পরিচালিত হয়েছে।’ জলবায়ুকন্যা গ্রেটা থুনবার্গ তার টুইটে ট্রাম্পের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘এত হাস্যকর। ডোনাল্ডকে খ্যাপামি কমাতে হবে। এরপর বন্ধুর সঙ্গে ভালো কোনো পুরোনো দিনের সিনেমা দেখতে হবে। চিল ডোনাল্ড, চিল!’ মিডিয়াতেও ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত হয়। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন এমন অভিযোগে ট্রাম্পের অফিসিয়াল টুইট পেজের একটি পোস্ট মুছে ফেলা হয়। ট্রাম্প টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন, ‘গেল রাতে আমিই এগিয়ে ছিলাম। যদিও ডেমোক্রেটরা সব জায়গা নিয়ন্ত্রণ করছে। একটার পর একটা ব্যালট বিস্ময়করভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খুবই আশ্চর্যজনক।’ এই পোস্টটি মুছে দেয় টুইটার। উপরন্তু মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার জন্য সিএনএন ও এএফপি তার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়, যা নজিরবিহীন ঘটনা। সিএনএন’র খবরে বলা হয়, নির্বাচনের পর ট্রাম্পের অধিকাংশ কথাই ভুল। রাশিয়ার মিডিয়ায় বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গণতন্ত্র চর্চা ব্যর্থ হতে চলেছে। কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল তা অন্যকে শেখানোর বা শিক্ষা দেয়ার মতো অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এখন আর নেই। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মার্কিন নির্বাচন এখন আদালতে। উদ্বেগ ও সন্দেহের কারণে এখন অনিশ্চিত নির্বাচনের ফলাফল। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট হয়ত নির্বাচন সম্পর্কে শেষ সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। দ্যা গার্ডিয়ানে বলা হয়, আদালতে ট্রাম্প নির্বাচনের ফল নিজের দিকে নিয়ে আসতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। চীন থেকে যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প সম্পর্কে ব্যাপক নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়। জাপানের মিডিয়ায়ও ট্রাম্পের বিপক্ষে খবর প্রচার করা হয়।

বাইডেন ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ‘হোয়াইট হাউসে তার প্রথম দিনের কাজ হবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে যাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘বহু লড়াইয়ের পর অর্জন করা মার্কিন গণতন্ত্র কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তিনি ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হলেও দেশের সকলের প্রেসিডেন্ট হবেন।’ উপরন্তু বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের উদ্দেশ্যে একটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এটা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাইডেন প্রথম টুইটে বলেন, ‘আমেরিকা, মহান এ রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমাকে বেছে নেয়ায় আমি সম্মানিত। আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনি আমাকে ভোট দিন বা না দিন, আমি হব সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট।’ উপরন্তু তিনি জাতির উদ্দেশ্য প্রথম ভাষণে বলেন, ‘আমি বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। কোন রাজ্য নীল, কোন রাজ্য লাল, তা আমি দেখি না। আমি দেখি যুক্তরাষ্ট্রকে।’ সর্বোপরি তিনি তার ট্রানজিশনাল ওয়েবসাইট চালু করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘মহামারি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে বর্ণ বৈষম্যমূলক অবিচার পর্যন্ত বহু সমস্যায় জর্জরিত আমেরিকা। আর ট্রানজিশনাল দল এখন থেকেই সমস্যা সমাধানে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করবে, যেন দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করতে পারে।’ অপরদিকে, বাইডেনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্বের বহু নেতা-নেত্রী তার বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশ্বের প্রায় সব মিডিয়া বাইডেনের বিজয়কে হাইলাইট করেছে। বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়েছে। পক্ষান্তরে ট্রাম্প নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন। পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউই নেই তার পাশে। পার্টির নেতারাও এখন তুলাধোনা করছেন তাকে।

আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে তিনি নতুন কোনো ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেন কি-না, আদালতের রায়ে দীর্ঘ সময় লাগে কি-না, কী রায় হয় এসব ভাববার বিষয়। দ্বিতীয়ত: নির্বাচনোত্তর দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ভোট গণনা স্থগিত/চালু রাখা নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হচ্ছে। অ্যারিজোনার একটি নির্বাচনী অফিসের বাইরে রাইফেল, হ্যান্ডগানসহ বিক্ষোভ করেছে ট্রাম্পের সমর্থকরা। ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি বলেন, নির্বাচনের ফলের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াই শুরু করবেন। অপরদিকে, ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে বিভিন্ন শহরে। পুলিশ অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তথাপিও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ডেমোক্র্যাটরা ব্যাপক আনন্দ-উল্লাস করছে। নির্বাচনের ফল না মানতে পারলে ট্রাম্পকে জনগণই একেবারে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেবে বলে বাইডেনের প্রচার দল হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এসব নিয়ে মানুষ চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ট্রাম্প যদি নির্বাচনের ফল মেনে নেন তাহলে সব চিন্তার অবসান ঘটবে এবং তারও মর্যাদা বাড়বে। সাবেক ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী রাসমুসেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘প্রকৃত ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার জন্য একটি পরামর্শ। একবার নির্বাচনে হারলে সম্মানের সঙ্গে কার্যালয় ত্যাগ করার এটিই সঠিক পথ। শুভ কামনা রইল।’ ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জারেড কুশনার নির্বাচন মেনে নিতে শ্বশুরের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন-নির্বাচন
আরও পড়ুন