মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ‘নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাজ্য। ‘নতুন সরকারকে অবশ্যই রাখাইন অঞ্চলের মানুষের যুক্তিসংগত উদ্বেগের বিষয়ে কাজ করতে হবে,’ ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমেদ বলেন, ‘আমরা সত্যি রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে সোমবার পর্যন্ত ভোট গণনা চলছে। রবিবার সেখানে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনেও অং সান সু চির সরকারের আবার ক্ষমতায় ফেরার বিষয়টি প্রত্যাশিত। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও অং সান সু চি মিয়ানমারে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছেন। তবে বিদেশে তার সুনামে ধস নেমেছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী বলছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারেই লুকিয়ে আছে। ‘যুক্তরাজ্য ন্যায় বিচারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সমস্যার সমাধানে আমরা রাজনৈতিক সমর্থনও দেব।’ মিয়ানমার তাদের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করতে চায় না। দেশটির সেনাবাহিনীর অত্যাচারে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। এদিকে, রোববার নির্বাচন শেষে মিয়ানমারে ভোট গণনা চলছে। এতে হেসে খেলে অং সান সুচি বিজয়ী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের ফল মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সেনাপ্রধান। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি ও ইরাবতী বলছে, ২০১১ সালে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার শাসন শেষ হওয়ার পর এটা সেখানে দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন। এতে লাখ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছে। গত নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পান অং সান সুচি। এরপরই তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে ক্ষমতার অংশীদার হন। উল্লেখ্য, এর ফলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হয়। রোববার দিনশেষে অং সান সুচির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে ভিড় করতে থাকেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক। এ সময় তারা নানা রকম স্লােগান দেন। দেশে অং সান সুচির জনপ্রিয়তা থাকা সত্তে¡ও এক সময়ে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের আইকন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেত্রীর আন্তর্জাতিক মর্যাদায় নাটকীয় পতন ঘটে। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় তিনি যে অবস্থান নিয়েছেন সে জন্য সারা বিশ্ব থেকে তার প্রতি নিন্দা ও ঘৃণা জানানো হয়েছে। এএফপি, ইউএনবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।