Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পের খেয়ালী শাসনের অবসান এবং গণতন্ত্রের পতাকা সমুন্নত

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের ইলেকশনে হারবেন এ ব্যাপারে আমেরিকা বা বহির্বিশ্বে কোনো সন্দেহ ছিল না। মার্কিন জনগণ সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে দুইটি মেয়াদে নির্বাচিত করেন। এটি করেন তারা সরকারের স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য। কোনো ব্যক্তি টানা আট বছর ক্ষমতায় থাকলে তিনি তাঁর দেশ এবং সরকারের জন্য অনেক কিছুই করতে পারেন। তার পরেও যদি কোনো প্রেসিডেন্টকে জনগণ দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত না করেন তাহলে বুঝতে হবে, সেই প্রেসিডেন্টের দেশ শাসনে নিশ্চয়ই বড় কোনো গলদ ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন, কারো প্রতি আমাদের অনুরাগ বা বিরাগ নাই। নাই ডেমোক্র্যাটিক বা রিপাবলিকান, কোনো দলের প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্ব। যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, মুসলমানদের তেমন কোনো লাভ-ক্ষতি হয় না। অনুরূপভাবে হোয়াইট হাউসে যিনিই আসুন না কেন, তাতে বাংলাদেশেরও তেমন কোনো লাভ-ক্ষতি হয় না। কিন্তু বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ আমেরিকার যে বিষয়টিকে শ্রদ্ধা এবং সমীহ করে, সেটি হলো গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং আচার-আচরণের প্রতি মার্কিন জনগণের অকুণ্ঠ আনুগত্য। আমেরিকার বাইরে মার্কিন সরকারের ভূমিকা সাম্রাজ্যবাদী হতে পারে, কিন্তু দেশের মধ্যে মার্কিন জনগণের জন্য ভালো করলে তাদের জনগণ নিয়মের বাইরে গিয়েও অর্থাৎ আউট অব দি ওয়ে তাদের নেতাকে পুরস্কৃত করে। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। মার্কিন সংবিধান মোতাবেক কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের বেলায় এই নিয়ম শিথিল করা হয়। তাকে তিন মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট করা হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ ১২ বছর।

শনিবার সন্ধ্যায় লেখাটি যখন এই পর্যায়ে তখনও চূড়ান্ত ফলাফল আসেনি। বাইডেন এগিয়ে আছেন সে খবর তো ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকেই দেখছি। যতই দিন যাচ্ছে ততই ব্যবধান বাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাইডেন। দুই দিন ধরে দেখছি ২১৪টি ইলেক্টোরাল ভোটে স্থির হয়ে আছেন ট্রাম্প। এর অর্থ হলো, জয়ের জন্য যে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট দরকার সেখান থেকে ট্রাম্প মাত্র ৫৬ ভোট পেছনে। এত ভোটই বা তিনি পাবেন কেন? এছাড়া পপুলার ভোট তিনি কত পেয়েছেন সেটা এখনো জানা যায়নি। আমেরিকা থেকে যারা ঢাকার পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন তারা বলেছেন যে, পপুলার ভোট তিনি আরো বেশি পেয়েছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যারা নির্বাচনী ফলাফলের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তারা সর্বাংশে না হলেও বহুলাংশে ভুল প্রমাণিত হয়েছেন।

এই পন্ডিতরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে, বাইডেন হেসে খেলে জিতে যাবেন। কিন্তু সেটা তো হলো না। এর কারণ, মার্কিন সমাজ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। শ্বেতাঙ্গদের একটি বিরাট অংশ এখনো ট্রাম্পের পুরাতন শ্লোগানের সাথেই আছেন। সেটি হলো, ‘আমেরিকা ফর দি আমেরিকানস্’। মার্কিন নাগরিক না হলে তো মার্কিন নির্বাচনে ভোট দেয়া যায় না। তাহলে ‘আমেরিকানস্’ বলতে তিনি কাদের বোঝাচ্ছেন? আমেরিকাকে বলা হয় ‘ল্যান্ড অফ দি ইমিগ্র্যান্টস’। অর্থাৎ অভিবাসীদের দেশ হলো আমেরিকা। শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান, মেক্সিকান, আফ্রিকান, ল্যাটিন আমেরিকানস্- এই সব মিলিয়েই তো আমেরিকা, তথা আমেরিকানস্।

দুই
কিন্তু ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে এবং পরে ট্রাম্প মার্কিন মাটি থেকে হিসপ্যানিক এবং মুসলমানদের তাড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি যেসব বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান তার অন্তর্নিহিত অর্থ ছিল একটাই। আর সেটাই ছিল আসল কথা। সেটা হলো, শ্বেতাঙ্গরাই হলো আসল আমেরিকান। অভিবাসীরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। কিন্তু ট্রাম্প ভালো করে ইতিহাস পড়েননি। তিনি কি জানেন যে, আমেরিকার আদিবাসী ছিলেন রেড ইন্ডিয়ানরা। কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কারের পর ইউরোপীয়রা পশ্চিম গোলার্ধের এই বিশাল ভূখন্ডটিতে এসে বসত গড়তে শুরু করে। এখানে স্থায়ীভাবে বাস করার জন্য তারা রেড ইন্ডিয়ানদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালায়। অনেক ক্ষেত্রে তারা অনেক রেড ইন্ডিয়ানকে হত্যা করে। এই ইতিহাস অনেক পুরনো এবং অনেকেই এই ইতিহাস জানেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে শ্বেতাঙ্গরাও আমেরিকায় অভিবাসী। পার্থক্য হলো এই যে, শ্বেতাঙ্গরা এসেছেন অনেক আগে। তারপর কৃষ্ণাঙ্গরা। তারপর অন্যরা। জানা যায় যে, আমেরিকাতে এখন ৩ কোটির বেশি কৃষ্ণাঙ্গ তথা আফ্রিকান-আমেরিকান রয়েছেন।

আপনি যদি নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের রাস্তা দিয়ে হাঁটেন তাহলে আপনার চক্ষু স্থির হয়ে যাবে। আমি যখন প্রথম ম্যানহাটন যাই, তখন রাস্তাঘাটের মানুষজন দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ। রাস্তায় কোন্ দেশের মানুষ নাই? সব দেশের মানুষ আছে। আপনি দেখবেন যেমন বাংলাদেশি, তেমনি পাকিস্তানি, তেমনি ভারতীয়। দেখবেন দক্ষিণ আমেরিকার কিউবান, বলিভিয়া আর ব্রাজিলের লোক। দেখবেন মধ্যপ্রাচ্যের আরব অনারব নির্বিশেষে সেখানকার মানুষ। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কয়েক কোটি মানুষ আমেরিকায় এসে থিতু হয়েছেন, নাগরিক হয়েছেন এবং আমেরিকান হিসেবে বসবাস করছেন। আমেরিকার এই বিশাল ও মজবুত অর্থনীতিতে এসব ইমিগ্র্যান্টদের অবদান বিরাট।

শুধুমাত্র অর্থনীতি নয়, এরা আমেরিকার সমাজদেহেও মিশে গেছেন। তাই রাজনীতিতেও তাদের পদচারণা লক্ষ করা যাচ্ছে। কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এবার আরেক কৃষ্ণাঙ্গ কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন। এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ও এশিয়ান মার্কিন সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন রাজনীতিতে বাংলাদেশি মহিলাদের সরব পদচারণা অনেকেরই নজর কেড়েছে। এখন যারা শ্বেতাঙ্গ নন, কিন্তু মার্কিন নাগরিক, তাদের শেকড়ও আমেরিকার মাটির নিচে প্রোথিত হয়েছে। কাজেই এদেরকে তাড়ানো এত সহজ নয়। ট্রাম্প প্রথম দিকে সে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।

এবার সব বর্ণের, সব ধর্মের ইমিগ্র্যান্টদের মাঝে আওয়াজ উঠেছিল, ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী ট্রাম্পকে হঠাতে হবে। তবে শুধুমাত্র ইমিগ্র্যান্টদের ভোটেই যে ট্রাম্প পরাজিত হয়েছেন তাই নয়, এবার শ্বেতাঙ্গদেরও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন। ফক্স টেলিভিশনের মালিক এবং আমেরিকার আরও একাধিক মিডিয়ার মালিক রুপার্ট মারডোক আগে ছিলেন ট্রাম্পের অন্ধ সমর্থক। সেই মারডোকও এবার ট্রাম্পের ক্ষ্যাপামিতে বিরক্ত হয়ে এই মর্মে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এবারের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প গো হারা (ল্যান্ড স্লাইড ডিফিট) হারবেন। ট্রাম্প হেরে গেছেন, তবে ল্যান্ড স্লাইড ডিফিট নয়। আর সেটি আমার কাছে আশ্চর্য। ডক্টর এন্থনি ফাউসী সারা পৃথিবীব্যাপী একজন নামকরা সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ। দুনিয়ার চিকিৎসকবৃন্দ তাকে গভীর সমীহ করেন। আর ট্রাম্প কিনা বলেন যে, তিনি ডক্টর ফাউসীকে হোয়াইট হাউস থেকে বহিষ্কার করবেন।

ট্রাম্পের পাগলামোর কথা কী আর বলব। কার সাথে তিনি ঝগড়া করেননি? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আমেরিকা মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে চাঁদা বা অর্থ দিচ্ছিল, সেটি তিনি বন্ধ করে দেন। অভিযোগ তোলেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নাকি চীনের পকেটে চলে গেছে। বিগত চার বছর ধরে হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প যত অসংলগ্ন উক্তি করেছেন সেগুলো লিখতে গেলে একটি মহাকাব্য হয়ে যাবে। সেকারণেই আমার প্রশ্ন যে, এত কান্ডকীর্তির পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এতগুলো ভোট পেলেন কীভাবে? এর সহজ উত্তর হলো, উদার নৈতিকতা মার্কিন সমাজে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে ঠিকই, তবে এখনো হোয়াইট সুপ্রিমেসি বা শ্বেতাঙ্গ প্রাধান্যের ধারণাটি শ্বেত চর্মের লোকদের ভেতরে গেঁথে আছে।

তিন
এবারের নির্বাচনে কতকগুলি প্লাস পয়েন্ট পাওয়া যায়। সেগুলি হলো, গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি মার্কিনীদের একনিষ্ঠতা। ইলেকশনের পর ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাষণ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ভাষণের মধ্যখানেই একাধিক টেলিভিশন তার ভাষণটির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যতটুকু ভাষণ দিয়েছেন ততটুকুর মধ্যেই তিনি অনেক মিথ্যা কথা বলেছেন। তাই মিথ্যা তথ্যে ঠাসা ভাষণ তারা আর জনগণকে শোনাতে রাজি নন। লক্ষ করুন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকবেন। গণতন্ত্রের প্রতি কত দৃঢ় কমিটমেন্ট থাকলে এমন দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

বাইডেন জয়লাভ করার পর এই উপমহাদেশে মার্কিন নীতির কি বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে? এই প্রশ্ন এখন ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অনেকের মনে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু এই প্রশ্নটি টু আর্লি, অর্থাৎ অনেক আগে ভাগে করা হয়েছে। কারণ বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি। এর মাঝে যে ২ মাস ১০ দিন সময় তিনি হাতে পাচ্ছেন এই সময় তিনি দেশের পরিস্থিতি এবং বিশ্ব পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন। তবে বাইডেন প্রশাসনিক এবং বিদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিপুল অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। ৩৬ বছর সিনেটর ছিলেন এবং ৮ বছর আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এছাড়া মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে (সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির) দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। এসব অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি তার বিদেশ নীতি নির্ধারণ করবেন। তাই এ সম্পর্কে আগাম কিছু বলা ঠিক হবে না।

জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচার টিম পলিসি পেপার তৈরি করেছে, সেই পলিসি পেপারের একটি কপি ভারতের ‘দি হিন্দু’ নামক ইংরেজি দৈনিকের হাতে এসেছে। ৮ নভেম্বর দি হিন্দুতে ঐ পলিসি পেপারের সংক্ষিপ্তসার প্রকাশ করা হয়েছে। ঐ সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, ‘বাইডেন প্রশাসন ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক জোরদারে উচ্চ অগ্রাধিকার দেবে। ভারত যাতে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের আসন পেতে পারে সে ব্যাপারে জোর সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হাওয়ায় তার ১৪ বছরের লালিত স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এসেছে। পলিসি পেপারে বাইডেনের জবানীতে বলা হয়, ‘আমার স্বপ্ন হলো এই যে, ভারত এবং আমেরিকা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ দেশে পরিণত হবে। যদি তাই হয়, তাহলে বিশ্ব নিরাপদ হবে।’ ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে অধুনালুপ্ত ‘ইন্ডিয়া অ্যাব্রোড’ নামক পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন একথা বলেন।

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর চীন, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বাইডেন কী নীতি গ্রহণ করেন সেটি দেখার জন্য গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে উপমহাদেশের মানুষ।
[email protected]



 

Show all comments
  • তানবীর ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৫ এএম says : 0
    মানুষের ভোটাধিকার থাকলে এমন হয়
    Total Reply(0) Reply
  • জাহিদ ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৬ এএম says : 0
    আমাদের দেশে ভোট হলে অনেক কিছু পরিবর্তন হতো
    Total Reply(0) Reply
  • বুলবুল আহমেদ ১০ নভেম্বর, ২০২০, ১:৩৭ এএম says : 0
    সুন্দর ও বিশ্লেষণ মুলক লেখাটির জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • Monjur Rashed ১২ নভেম্বর, ২০২০, ৪:০৮ পিএম says : 0
    India is going to be second Israel for USA is Asia.Israeli lobby played significant role in this metamorphosis. Same role was observed from Arab countries as well.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র-সমুন্নত
আরও পড়ুন