পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর রাস্তা অথচ গাড়ি চলাচল তো দূরে থাক পায়ে হেটে চলাও মুশকিল। বৃষ্টি হলে হয় হাটু পানি, আর পানিতে ভেসে বেড়ায় মানুষের মল। রাস্তার কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীর জীবন। নির্বাচনের আগে কাউন্সিলর নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া ও আশার বাণী শোনালেও কিছুই করছেন না। যেসব এলাকায় রাস্তার করুণ দশা সেসব এলাকায় কাউন্সিলররাও যান না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণখান থানার ৪৯ নং ওয়ার্ডের গাওয়াইর হাইস্কুল থেকে ব্যাংক কলোনি হয়ে প্রফেসর বাড়ি পর্যন্ত সড়কটির এমন দশা বর্তমানে। এছাড়া দক্ষিণখানের প্রেমবাগান থেকে মুক্তিযোদ্ধা রোড, নগর বাড়ির রাস্তার অবস্থাও করুন। সারাবছরই পানি জমে থাকে, আর পানিতে ভেসে থাকে মানুষের মল।
কাউন্সিলররা জানান, সিটি করপোরেশন থেকে নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নের জন্য প্রজেক্ট একনেকে পাশ হলেও এখনো বরাদ্ধ পাননি তারা, সেজন্য কোন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, গাওয়াইর হাইস্কুল থেকে ব্যাংক কলোনি হয়ে প্রফেসর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় ইট-খোয়ার স্তুপ দিয়ে হাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটু অসতর্ক হলে বদ্ধ ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানিতে পড়ে যাবার সম্ভাবনা। এ রাস্তায় রিকশা চলাচলেরও অনুপোযুক্ত। এ রাস্তার প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির সময় বাড়ির বাইরে যাওয়াই মুশকিল হয়ে যায়। অসুস্থ্য হলে রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় এলাকা থেকে বের হয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত যাওয়া।
এছাড়া ৪৮ নং ওয়ার্ডের নগরবাড়ি এলাকার রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা সব সময় ময়লা পানিতে ডুবন্ত থাকে। ভেসে থাকে মানুষের মল। কোন রকম হাটার উপযুক্ত থাকে না। ড্রেনের স্ল্যাব উঠিয়ে রাখা, এতে করে কোন রকম পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা হলেও ঘটে দুর্ঘটনা। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেক রিকশা পানিবদ্ধ রাস্তায় ড্রেনের পিটের মধ্যে উল্টে পড়ে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে। এদিকে প্রেমবাগান থেকে মুক্তিযোদ্ধা রোডের অবস্থাও খারাপ। সারাবছর রাস্তায় ময়লা পানি জমে থাকে।
ওয়ার্ডগুলোর রাস্তার উন্নয়নে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনে যুক্ত হবার পর থেকে কোন ধরনের কাজ করা হয়নি। যেসব রাস্তা খুড়ে রাখা হয়েছিল তা সেভাবেই রয়েছে। মূল সড়কে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। ড্রেনের পানি কোথা থেকে কোথায় গিয়ে ফেলা হচ্ছে তার নেই নির্দিষ্ট কোন হিসেবে, করা হয়নি কোন পরিকল্পনা। নিচু জমি পেলেই সেখানে ড্রেনের পানি ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈম ইনকিলাবকে বলেন, কোন ধরনের বরাদ্ধ এখনো পাইনি তাই রাস্তার উন্নয়নের কাজ করতে পারিনি। একটি প্রকল্প পাস হয়েছে সেই বরাদ্ধ পেলে হয়তো কাজ শুরু করা যাবে। ৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আকবরও একই কথা বলেছেন। তারা জানান, ওয়ার্ডের উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে তাদের সাথে কোন ধরনের আলাপ আলোচনা করা হয়নি সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে। মেয়র আতিকুল ইসলাম কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করার কথা থাকলে তা হয়নি।
এলাকাটি সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৭ এর অধিভুক্ত। অঞ্চলটি আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, এলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত ছিল। স¤প্রতি সিটি করপোরেশনে এসেছে। এ ধরনের বর্ধিত এলাকার উন্নয়নের জন্য একটি বরাদ্দ আসছে। সে প্রকল্পের মাধ্যমে খুব শিগগিরই এসব এলাকার উন্নয়ন কাজ করা হবে। তবে এলাকা অনেক বড় উন্নয়নে সময় লাগবে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, অবকাঠামো উন্নয়নে চার হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে গত জুলাইতে। এই টাকার অর্ধেক জমিঅধিগ্রহণে ব্যয় করা হবে। একনেক থেকে টাকা ছাড় হতে স্বাভাবিকভাবে ৮ মাস সময় লাগে। সে হিসেবে আগামী বছরের মার্চের আগে কাজ ধরা সম্ভব নয়। এছাড়া নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে মাষ্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। একটি কনসালটেন্সি ফার্মকে পরিকল্পনার জন্য নিয়োগ করা হলেও কাজের কোন অগ্রগতি নেই। তাই কবে কাজ শুরু হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য নেই সংস্থাটির।
তবে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ হবে বলে টেন্ডারিং প্রক্রিয়া সময় নষ্ট হবে না। অর্থ ছাড় পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।