মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে ভারতে সব ধরণের খাবারের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে আলু আর পেয়াজের দাম বেড়েছে সব চেয়ে বেশি। রান্না ঘরের অতি দরকারি পণ্য দুটির দাম যে আকাশচুম্বী। বলতে গেলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার অবস্থায় আলু ও পেঁয়াজ। আটা ছাড়া অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কয়েকদফা বেড়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এক বছরে আলুর দাম বেড়েছে ৯২ শতাংশ। এর পড়েই আছে পেঁয়াজ, ৪৪ শতাংশ।
উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতিটা সাময়িক। জোগান বৃদ্ধি পেলে দামও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
ভারতের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পণ্যের মূল্য সংক্রান্ত তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারেই পণ্যদ্রব্যের গড় দাম বেড়েছে।
এর মধ্যে পাইকারি বাজারে গত এক বছরে আলুর দাম ১০৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি কুইন্টালের (১০০ কেজি) মূল্য ১,৭৩৯ রুপি থেকে ৩,৬৩৩ রুপিতে ঠেকেছে।
শনিবার পাইকারি বাজারে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল ৫,৬৪৫ রুপি, ঠিক এক বছর আগে মূল্য ছিল ১,৭৩৯ রুপি। এই সময়ে পেঁয়াজের বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।
দাম বাড়ার ঊর্ধ্বগতি তালিকায় আলু-পেঁয়াজের পরেই রয়েছে ডাল। নানা প্রকারের ডালের দাম খুচরা বাজারে গত এক বছরের মধ্যে বেড়েছে ২০ থেকে ২৭ শতাংশ।
গত কয়েক মাস ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উঠতির দিকে। তাতে সাধারণ মানুষের চাপ পড়ছে সাধারণ মানুষের আয়ে।
আলুর খুচরা বাজার দর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১৫৮ শতাংশ। ১৬.৭ রুপি থেকে বর্তমান দাম ৪৩ রুপি। তবে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের একাধিক সূত্র।
চলতি বছর ভারতে আলুর উৎপাদন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। দেশটির আলুর অন্যতম আধার উত্তর প্রদেশ। গত বছর প্রদেশটিতে আলু উৎপাদিত হয়েছিল ১ কোটি ৫৫ লাখ টন। এবার উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ টন।
ভারতে আলু উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় ধানে। গত বছর ১ কোটি ১০ লাখ টনের তুলনায় এবার উৎপাদিত হয়েছে ৮৫ লাখ থেকে ৯০ লাখ মিলিয়ন।
আলুর দামের লাগাম টানতে ভুটান থেকে ১০ লাখ টন আলু আমদানি করতে যাচ্ছে ভারত। শুল্ক প্রশ্নেও এ আমদানিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসব আলু ভারতে পৌঁছার কথা।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারি উদ্যোগে ৭ হাজার টন পেঁয়াজ এরই মধ্যে আবদানি করেছে। ভারত। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পৌঁছাবে আরও ২৫ হাজার টন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।