পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামভীতি ছড়ানোর বিরুদ্ধে মুসলমানদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। এজন্য তিনি মুসলিম বিশ্বের মুসলিম নেতাদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। বুধবার লেখা ওই চিঠিতে তিনি বলেন, “সম্প্রতি নেতৃত্ব পর্যায় থেকে যেসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে এবং পবিত্র কুরআন ও মহানবী (স)-কে অবমাননা করার যে ঘটনা ঘটেছে তা মূলত ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে ইসলামভীতি বেড়ে চলারই প্রতিফলন।” এদিকে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় লাহোর শহরে দেয়া এক বৃক্ততায় ইমরান খান বলেন, ফ্রান্স ও পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলমানদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। ধর্মপালনকারীদের স্পর্শকাতরতার বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া উচিত। এ সময় তিনি মহানবী (স)-কে অবমাননাসহ মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য ও নারীদের হিজাব পরার অনুমতি না দেয়ায় পশ্চিমা শাসকদের সমালোচনা করেন। এদিকে, ভারতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে আবারও একই কথা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, প্রতেবেশী ভারতের সঙ্গে তখনই ইসলামাবাদ আলোচনায় বসবে, যখন ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে নয়াদিল্লির সামরিক দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে এবং নিজেদের অধিকার ফিরে পাবেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। ১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন হওয়ার দুই মাস পর (অক্টোবরে) কাশ্মীরের এক অংশে প্রবেশ করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার সেই দিনটি উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর নিয়ে এসব কথা বলেন। ইমরান খান বলেন, তিনি ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে চান কিন্তু তার আগে ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল কাশ্মীর থেকে ভারতীয় দখলদারিত্বের অবসান ঘটতে হবে। কাশ্মীর উপতক্যার পুরোটাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের দখলে রয়েছে কাশ্মীরের দুই অংশ। আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত কিন্তু এর জন্য যেভাবে কাশ্মীরকে সামরিকভাবে দখল করে রেখেছেন তার অবসান ঘটানো প্রয়োজন। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিষয়টি হলো জাতিসংঘ প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাশ্মীরের মানুষের স্বাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে আপনাদের।’ কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমানা বিভাজনকারী রেখা হলো লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি। ২০০৩ সাল থেকে সেখানে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি রয়েছে। কিন্তু নিয়মিতই লাইন অব কন্ট্রোলে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। দুই পক্ষের হামলা আর পাল্টা হামলায় অগণিত মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছেই। গত বছরের আগস্টে মোদি সরকার ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে দিখন্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। সংবিধান কর্তৃক এই বিশেষ মর্যাদার কারণে কিছুটা হলেও স্বায়ত্তশাসন পেত কাশ্মীর। কিন্তু তা বাতিল করে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন জারি করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ গোটা কাশ্মীর। শুধু বিশেষ মর্যাদা বাতিল নয় সেখানে ভারতীয়দের জমি কেনার অধিকারও দেয়া হয়। আর বিশেষ মর্যাদা রদের আগে থেকে সেখানে মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার সেনা। বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকায়িত অঞ্চলের একটি হলো হিমালয়ের কোলঘেঁষে থাকা কাশ্মীর। সেখানকার অনেকে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামও করছে। ট্রিবিউন, আল-জাজিরা, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।