মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী সপ্তাহেই অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা টিকার মানবদেহে প্রয়োগ শুরু হওয়ার কথা। তা নিয়ে ব্রিটেনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাসকে রুখতে ওই টিকা আদৌ কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান সে দেশেরই ভ্যাকসিন টাস্কফোর্স। তাদের দাবি, কে কত আগে প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারে, তা নিয়ে যতই প্রতিযোগিতা হোক না কেন, শুরুর দিকে সেগুলি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দ্য ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের ভ্যকসিন টাস্কফোর্সের চেয়ারপার্সন কেট বিংহ্যাম বলেন, ‘‘শুরুর দিকে কোভিড টিকাগুলি ত্রুটিপূর্ণ হতেই পারে। এমনকি সকলের জন্য কার্যকরী না-ও হতে পারে সেগুলি। প্রতিষেধক আদৌ হাতে আসবে কি না, এখনও পর্যন্ত তা নিশ্চিতভাবে জানে না কেউ। তাই এখনই উল্লাসের কোনও কারণ নেই। অতিরিক্ত কিছু আশা না করাই শ্রেয়।’’
কেট আরও জানান, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের বয়স, তাঁদের শরীরে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই মূল লক্ষ্য। হতে পারে বেশির ভাগ প্রতিষেধকই তা করতে ব্যর্থ হল। আবার কোনও প্রতিষেধকই কাজে লাগল না, এমনটাও হতে পারে। তাই সবরকম পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত থাকা উচিত।
প্রতিষেধক কবে আসবে তার উপর ভরসা করে না থেকে কেট যদিও সতর্কতা অবলম্বনেই জোর দিচ্ছেন, তবে অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক ঘিরে ব্রিটেনে উত্তেজনা চরমে। প্রতিষেধক এসে গিয়েছে ধরে নিয়ে সেখানে সামাজিক দূরত্ববিধির তোয়াক্কা করছেন না বহু মানুষ। একসঙ্গে ছ’জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ হলেও, তা মানতে চাইছেন না অনেকেই।
এরই মধ্যে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার আইএনসি জানিয়েছে, এ বছরের মধ্যেই করোনার প্রতিষেধক তৈরি করে ফেলতে পারে তারা। অতিমারিতে অন্যান্য ওষুধের চাহিদা ধাক্কা খাওয়ায়, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ট্রায়ালে উতরে গেলে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে এ বছরই আমেরিকাকে করোনা প্রতিষেধকের ৪ কোটি ডোজ জোগানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তারা। ২০২১-এর মার্চের মধ্যে ১০ কোটি ডোজের জোগান দিতে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তারা।
জার্মানির বায়োএনটেক সংস্থার সঙ্গে মিলে এই মুহূর্তে তাদের তৈরি সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধকের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে ফাইজার আইএনসি। ওই প্রতিষেধক মানবদেহে কতটা কার্যকরী, তার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, এখনও সেই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট তাদের হাতে এসে পৌঁছয়নি। তাই ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রতিষেধক বাজারে এসে পৌঁছনোর কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ফাইজারের চিফ এগজিকিউটিভ অ্যালবার্ট বোর্লা-র দাবি, তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক করোনাকে ঠেকাতে সক্ষম। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।