পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধানের শীষের প্রচারণায় জন স্রোত দেখে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই তিনি ধানের শীষের পক্ষে জন স্রোত দেখছেন। এই জন স্রোত দেখে ভীত হয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো না কোনো প্রক্রিয়ায় প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে। কখনো রাতের আধারে, কখনো দিনের আলোতে কর্মী-সমর্থকদের বাসাবাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। হামলা করা হচ্ছে গণসংযোগেও। নানাভাবে ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এসব অভিযোগ জানালেও নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা আওয়ামীগের দায়ি ব্যক্তিদের বিররুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না।
প্রচারের ৫ম দিনে গতকাল মঙ্গলবার প্রচারে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এদিন বেলা সাড়ে ১১ উত্তরা ৯ নং সেক্টরে থেকে নেতাকর্মী-সমর্থক সাথে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে প্রচারের শুরুতে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, আজকের উপস্থিতি প্রমাণ করে ঢাকা-১৮ আসামের জনগণ বিএনপির সাথে ছিল আছে এবং থাকবে। ১২ নভেম্বর সেটা প্রমাণ করে দিবে। ১২ নভেম্বর সবাই নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আমাদের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে থাকবেন। যতই রক্তচক্ষু থাকুক আমরা সেটা মোকাবেলা করবো। সরকারের সকল অন্যায় অবিচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের জবাব জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে দিবে। ধানের শীষ কে বিজয় করবে।
পথসভায় জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি নির্ধারণ করি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ আমাদের ঘোষিত স্থানে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে। আর যদি আমাদের কোন প্রোগ্রাম ষড়যন্ত্র করে বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে বসে থাকবো না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তাই করব।
ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, গণতন্ত্র ফেরত চাই, ধানের শীষে ভোট চাই। সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী মতের মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, নির্যাতন চলছে। মা-বোনদের ইজ্জত ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, কোন নারী নির্যাতনকারীর স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। নারী নির্যাতনে সহায়তাকারী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
হাজী সেলিমের ছেলেকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে কী করেছে? প্রশাসনের ওপর হামলা করেছে, প্রশাসনের লোকদের মারধর করেছে। এতে যদি সরকার নীরব থাকে তাহলে তাদের ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই।
আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্দেশ দিয়েছেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও, আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান বলেছেন গণতন্ত্র ফেরত চাই, ধানের শীষে ভোট চাই। কোন হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। কারণ ঢাকা-১৮ আসনের জনগণ বিএনপির সাথে ছিল আছে। যতবার দেশের মানুষ ভোট দিতে পেরেছে, ততবার এই আসনে ধানের শীষ বিজয়ী হয়েছেন।
গণসংযোগে এস এম জাহাঙ্গীরের সাথে ছিলেন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, আকরামুল হাসান, ওমর ফারুক শাফিন, আবদুল আলীম নকি, সুমন সরকার, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল, রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, আমিনুর রহমান আমিন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের গাজী রেজাউল হক রিয়াজ, মহিলা দলের পিয়ারা মোস্তফাসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।