বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলার কৃষকদের মাঝে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গত অর্থবছরে ৭৬১ কোটি টাকার কৃষি ও শষ্যঋণ বিতরণ করেছে। এছাড়াও সরকারের করোনাকালীন প্রনোদণার আওতায় পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচিতে মাত্র ৪% সুদে আরো প্রায় ২শ’ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। ৪২টি উপজেলার ১২৯টি শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কৃষক ও সাধারণ ঋণ গ্রহীতা সরকার নির্ধারিত সুদে ঋণ গ্রহণ করেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে আসছে কৃষি ব্যাংক। গত অর্থবছরে ব্যাংকটি দক্ষিণাঞ্চলে ৫০৯ কোটি টাকা বকেয়া ঋণও আদায় করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৫%-এর বেশি বলে জানা গেছে। চলতি অর্থবছরে কৃষি ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে এক হাজার ২৫২ কোটি টাকা কৃষি, শষ্য ও বিভিন্ন ধরনের ঋণ বিতরণের নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে প্রায় ২৬২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে বলে ব্যাংকটির বরিশাল বিভাগীয় প্রধান নির্বাহী ও জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের কাছে প্রায় ২ হাজার ২শ’ কোটি টাকার কৃষি, শষ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ঋণ অনাদায়ী রয়েছে। যার বড় একটি অংশই দ্বীপ জেলা ভোলাতে। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে হাজার হাজার কৃষক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ায় তাদের অনেকেরই খোঁজ মিলছে না। অনেকেই কৃষিজমি, ঘরবাড়ি নদীগর্ভে হারিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন। ফলে এসব মানুষের কাছ থেকে বকেয়া ঋণ আদায় দুরহ হয়ে পড়েছে। তবে এসব কিছুর পরেও বিভিন্ন এলাকায় বকেয়া আদায়ে ইতোপূূর্বে দায়ের করা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা ও অর্থ ঋণ আদালতে প্রায় আড়াইশ’র মত মামলা চলমান রয়েছে।
কৃষি ব্যাংক করোনাকালীন সময়ে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ৪% সুদে ঋণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় কৃষি ব্যাংক সারাদেশে যে ১২শ’ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করছে তার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম পর্যায়ে ১০৫ কোটি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৮৫ কোটি টাকা বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কৃষক ও গ্রহীতাকে এ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করেছে কৃষি ব্যাংক। তবে মারাত্মক জনবল সঙ্কট নিয়ে চলছে রাষ্ট্রীয় বিশেষায়িত এ ব্যাংকটি। দক্ষিণাঞ্চলের ১২৯টি শাখার জন্য মঞ্জুরিকৃত প্রায় সাড়ে ১৬শ’ জনবলের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯৮০ জন। ব্যাংকটির বরিশাল বিভাগীয় জিএম জানান, এসব বিষয়ে সদর দফতর অবগত আছে। পরিস্থিতি উত্তরণে পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।