পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দক্ষিণাঞ্চলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চার শতাধিক কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের পাশাপাশি প্রায় ৯ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে। চলতি অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি ব্যাংক এক হাজার ১২৩ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষে কাজ করছে।
এ অঞ্চলে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার সংখ্যাও ৬১ থেকে ৫০-এ হ্রাস পেয়েছে। লাভজনক শাখার সংখ্যা ৬৮ থেকে ৮৯’তে উন্নীত হয়েছে। প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৩৬%-এরও বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করার পাশাপাশি চলতি রবি ও আসন্ন খরিপ-১ মৌসুমে অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। কৃষিব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির বরিশাল বিভাগীয় প্রধান মো. ইউসুফ আলী। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাষ্ট্রায়ত্ব এ ব্যাংকটি দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ উপজেলায় ১২৯টি শাখার মাধ্যমে ঋণ আদায় করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৫৯%। যা টাকার অংকে ৩৫৩ কোটি। চলতি অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলে ৫৯৯ কোটি টাকা ঋণ আদায়ের লক্ষ অর্জন করবে বলেও আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রায়ত্ব ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষি ব্যাংক পরিপূর্ণভাবে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে তার সব ধরনের ঋণের সুদের হার ইতোপূর্বেই ৯%-এ নির্ধারণ করেছে। পাশাপাশি মসলা জাতীয় কৃষি পণ্য উৎপাদনে মাত্র ৪% এবং গাভী পালনসহ দুগ্ধ উৎপাদনে ৫% সুদে ঋণ বিতরণ করছে ব্যাংকটি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কৃষি ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়নেও ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। যার মধ্যে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নেই দেয়া হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। অথচ এ ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ ও আদায়ে পরিচালন ব্যয় প্রায় ১০%-এর কাছাকাছি বলে জানা গেছে।
গত অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলের ১২৯টি শাখায় নিট মুনাফার পরিমাণ ২ কোটি ৬৮ লাখ থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এত স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করে কোন সরকারি ব্যাংকের পক্ষে মুনাফা অর্জন অত্যন্ত দুরহ বলে জানিয়ে ব্যাংক কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিএম ইউসুফ আলী। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখনো মারাত্মক জনবল সঙ্কটের মধ্যে দিয়েই কৃষি ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ১ হাজার ৬৬০ জনের মঞ্জুরিকৃত জনবলের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছে মাত্র ৯৯০ জনের মত। মঞ্জুরিকৃত পদের ৪০%-এর বেশি শূণ্য থাকায় ঋণ বিতরণ ও আদায়সহ ব্যাংকটির সার্বিক কার্যক্রম যথেষ্ট বিঘিœত হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে ব্যাংকটির বরিশাল বিভাগীয় জিএম কোন মন্তব্য না করলেও সার্বিক পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষ অবহিত আছেন বলে জানিয়ে সময়ে সময়ে জনবল নিয়োগ দেয়ার কথাও জানান তিনি।
দক্ষিণাঞ্চলে এখনো কৃষি ব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এর মধ্যে আদায়যোগ্য অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ১৩৭ কোটি টাকার মত। যা মোট অনাদায়ী ঋণের ৭%-এর মত বলে জানা গেছে।
দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি ঋণ আদায় অন্য যেকোন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের চেয়ে সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন একাধিক অর্থনীতির শিক্ষক। এ অঞ্চলে কৃষি ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমকে ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।