নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন উজ্জ্বল করতে জয় ছাড়া উপায় ছিল না কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারে খেলার স্বপ্ন ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে পাঞ্জাব। লক্ষ্য ছিল ঠিক ১৫০ রানের। ক্রিস গেইল ঝড়ে রানটা ৭ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে ১২তম ম্যাচে ষষ্ঠ জয় পেয়েছে বলিউড সুন্দরী প্রীতি জিনতার দল। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঞ্জাব আপাতত পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে। সমান ম্যাচে সমান ১২ পয়েন্ট পেলেও নেট রান রেটের হিসেবে পাঁচে কলকাতা।
গতপরশু শারজার মন্থর উইকেট রান তাড়ায় অষ্টম ওভারে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে হারায় পাঞ্জাব। ২৫ বলে ২৮ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে এলবিডবøু হয়েছেন আবারও ভারতীয় টেস্ট দলে ডাক পাওয়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। দলের রান তখন ৪৭। কর্ণাটকের লেগ স্পিনার চক্রবর্তী এদিনই সুখবর পেয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া সফরের ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন। রাহুলের বিদায়ের পর ওপেনার মনদীপ সিংকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ বলে ঠিক ১০০ রান যোগ করেন গেইল। ক্যারিবীয় বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান অল্পের জন্যই দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারেননি। জয় থেকে ৩ রান দ‚রে থাকতে লকি ফার্গুসনের বলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়েছেন। ২৯ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫১ রান করেছেন গেইল। এবারের আইপিএলে এটি গেইলের দ্বিতীয় ফিফটি। ফিফটি পেয়েছেন মনদীপও। তবে তার ব্যাটে গেইলের মতো আগ্রাসন ছিল না। ৬৬ রানে অপরাজিত থাকা মনদীপ খেলেছেন ৫৬ বল। ভারতের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলা ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চার ও ২টি ছক্কায়।
এর আগে ২ ওভারে ১০ রান তুলতেই কলকাতা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। পাঞ্জাবের গেøন ম্যাক্সওয়েল আর মোহাম্মদ শামির আঘাতে এলোমেলো কলকাতার টপ অর্ডার। তবু কলকাতা যে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের লড়াইয়ের স্কোর পেল, সেটিতে বড় অবদান এউইন মরগান আর শুবমান গিলের চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলা ৮১ রান। শেষ দিকে চলে আসা আইপিএলে এখন লো স্কোরিং ম্যাচ নিয়মিত ঘটনা। রাতের শিশির, টানা ব্যবহারে ক্লান্ত পিচ- লো স্কোরিং ম্যাচে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। এদিন কলকাতাও বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। তবু যে স্কোরটাই তারা পেয়েছে সেটি গিল-মরগানের দারুণ ব্যাটিংয়ে। টপ অর্ডার হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ার পরও এই দুই ব্যাটসম্যান পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। প্রথম ২ ওভারে ৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া শামিকেই পাওয়ার প্লেতে তুলাধোনা করেছেন! ষষ্ঠ ওভারে শামির ওভার থেকে ২১ রান তুলেছে কলকাতা।
রানের এ ধারাটা ধরে রাখতে পারলেই ২০০ রানের স্কোর গড়া কঠিন ছিল না কলকাতার। রবি বিষ্ণয়ের বলে মুরুগান অশ্বিনের ক্যাচ হওয়ার আগে ২৫ বলে ৪০ রান করা মরগান আউট হতেই ছন্দপতন। অন্য প্রান্তে শুবমান থাকলেও ধারাবাহিক উইকেট পতনে তিনি এগোতে পারেননি স্বচ্ছন্দে। শামির আরেক শিকার হয়ে ফিরেছেন ৫৭ রানে। নয়ে নামা লকি ফার্গুসনের ১৩ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ছোট ঝড়ে কলকাতা পৌঁছাতে পেরেছে ১৫০-এর কাছাকাছি। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস জর্ডান ও রবি বিষ্ণয়। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী লেগ স্পিনার বিষ্ণয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।