Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নীলফামারীতে প্রনোদনার টাকা দেয়ার নামে ইউপি সদস্যের প্রতারণা

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৩:১৮ পিএম | আপডেট : ৪:২১ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০


নীলফামারীতে প্রনোদনার টাকা দেয়ার নামে
ইউপি সদস্যের প্রতারণা
নীলফামারী সংবাদদাতা
নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফেরদৌস আহমেদ করোনায় প্রধানমন্ত্রীর প্রনোদনার টাকা দেয়ার নামে গ্রামের দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগিরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ মতে, করোনার মহামারীতে প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র,অসহায় ও কর্মহীন মানুষের জন্য ২৫শত টাকা করে প্রনোদনা প্রদান করেন। আর এই প্রনোদনার টাকা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সোনারায় ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফেরদৌস আহমেদ তার ওয়ার্ডের সুমিত্রা রায়,খিতিশ রায়,নিরমল রায়,কৌশিক রায় সহ অনেকের কাছে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকটি সহ ১ হাজার করে টাকা নেন। যারা প্রথমে টাকা দিতে পারেনি তাদের কাছে প্রনোদনার টাকা পাওয়ার পর টাকা নেন । অনেকে আবার ইউপি সদস্যকে টাকা দিলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রনোদনার টাকা পাননি। প্রনোদনার টাকা পাওয়ার পর সুমিত্রা রায় নামে এক মিল শ্রমিক এক হাজার টাকার স্থলে ৪শত টাকা ইউপি সদস্যকে প্রদান করলে এই নিয়ে ইউপি সদস্যের সাথে ওই মহিলার বাকবিতন্ডা হওয়ায় ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়।
ফকিরগজ্ঞ বাজারের একটি হাউসকিং মিলে কথা হয় সুমিত্রা রায়ের সাথে। সুমিত্রা রায় জানায় মেম্বার ফেরদৌস আমাকে বলে খরচবাবদ এক হাজার টাকা দিলে ২৫’শ টাকা পাইয়ে দিব। আমি সে সময় টাকা দিতে না পারায় তখন মেম্বার বলে টাকা পাওয়ার পর ১ হাজার দিতে হবে। আমি টাকার পাওয়ার পর মেম্বার আমার কাছে টাকা নিতে আসলে আমি তাকে ৪ শত টাকা দিয়ে বাকী টাকা পরে দিতে চাইলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন,ওমর ফারুকসহ অনেকে জানান ইউপি সদস্য ফেরদৌস প্রধানমন্ত্রীর করোনার প্রনোদনার টাকা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া নিজের আত্মীয়-স্বজনের নামেও প্রনোদনার টাকা নিয়েছে ।
এদিকে ইউপি সদস্যকে ১ হাজার টাকা দিয়েও প্রনোদনোর টাকা না পাওয়া ভুক্তভোগিরা জেলা প্রশাসক সহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, নীলফামারী জোনের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রুহুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগকারীদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান বলে জানা গেছে।
সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমি স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে ইউপি সদস্য ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেহবুবা মুফতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ