নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর মাত্র একটি সপ্তাহ। তারপরই উঠে যাচ্ছে সাকিব আল হাসানকে দেওয়া আইসিসির নিষেধাজ্ঞা। সতীর্থ, কোচ, নির্বাচক, ক্রিকেট প্রশাসন থেকে শুরু থেকে দেশের কোটি কোটি ভক্ত আছেন তার মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। নিষেধাজ্ঞার সময় সাকিব দুই সংস্করণে ছিলেন দলের অধিনায়ক। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, সব সংস্করণে ছিলেন দলের সেরা পারফরমার। সাকিব ফেরার পর তাই তার কাছে যথারীতি প্রত্যাশা থাকবে আকাশছোঁয়া। এখানেই ধৈর্য ধরার অনুরোধ করলেন ডমিঙ্গো। দীর্ঘ এক বছর পর আবার খেলতে নেমেই যে সাকিব তাক লাগিয়ে দেবেন, তা অবশ্য প্রত্যাশা করছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ সবাইকে দিলেন ধৈর্য ধরার পরামর্শ।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় বর্তমানে সব ধরনের ক্রিকেটের বাইরে আছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। শাস্তির মেয়াদ শেষে আগামী ২৯ অক্টোবর আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে সাকিব দেশে ফিরেছিলেন গত ২ সেপ্টেম্বর। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করেন তিনি। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারে বাধা রয়েছে সাকিবের। তাই বেছে নিয়েছিলেন বিকেএসপিকে। তাছাড়া, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার সূচি ছিল বাংলাদেশের। এই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে ফেরার সম্ভাবনা ছিল সাকিবের। কিন্তু বাংলাদেশের চাহিদা মেনে কোয়ারেন্টাইনের সময় কমাতে রাজী হয়নি লঙ্কানরা। ফলে দ্বিতীয় দফায় স্থগিত হয়ে গেছে লঙ্কা সফর। এই সিদ্ধান্তের পর অনুশীলনের ইতি টেনে চলতি মাসের শুরুতে সাকিব ফের উড়ে গেছেন আমেরিকায়।
গতপরশু ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ জানান, ফেরার সময় ঘনিয়ে আসায় ৩৩ বছর বয়সী সাকিব কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তবে তার কাছ থেকে সেরাটা পেতে হলে কিছুটা সময় করতে হবে অপেক্ষা, ‘আমি গতকালও তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে তার ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সে দেশের বাইরে আছে। সাকিব অন্য অনেক খেলোয়াড়ের মতো। অভ্যস্ত হওয়ার আগে তাদের কিছুটা ক্রিকেট খেলার দরকার হয়। তাই আপনারা যদি মনে করেন যে, সে দারুণভাবে ফিরে আসবে এবং অলৌকিক রকমের বিশাল পারফরম্যান্স করবে, তাহলে তার ব্যাপারে আপনাদের ধৈর্যশীল হতে হবে।’
কেন এমনটা ভাবছেন তার ব্যাখ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকান ডমিঙ্গো বলেছেন, অনুশীলনের সঙ্গে প্রতিযোগিতাম‚লক ম্যাচের আবহের পার্থক্য যোজন যোজন, ‘এক বছর ধরে সে কোনো ক্রিকেট খেলেনি। সে খেলতে মুখিয়ে আছে। সে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু তারও নিজের পথ খুঁজে নিতে হয়। থ্রো-ডাউন কিংবা বোলিং মেশিনের মুখোমুখি হওয়ার সঙ্গে ১৪০ কিলোমিটার বেগের বোলারকে মোকাবিলা করার মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। তাই ছন্দ খুঁজে পেতে তার কিছুটা সময় লাগবে।’
সাকিবের অভাবটা খুব বেশি টের পায়নি বাংলাদেশ। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছে টাইগাররা। তারপরও স্রেফ জিম্বাবুয়ে সিরিজটি ছাড়া অন্য সব সিরিজে সাকিববিহীন বাংলাদেশের ছিল যাচ্ছেতাই অবস্থা। তবে সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে আগামী বছরে ব্যস্ত সূচির মধ্যে পড়তে হবে তাদেরকে। আর তখন নিঃসন্দেহে মুখ্য হয়ে উঠবে সাকিবের পারফরম্যান্স। তাই শিষ্যের জন্য আগাম শুভকামনা ডমিঙ্গোর, ‘আমরা জানি যে, সে একজন অসাধারণ দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটার। তাই আমার প্রত্যাশা, বাংলাদেশের হয়ে ২০২১ সালটা দুর্দান্ত কাটবে তার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।