মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনটি ভালভাবে কাজ করছে এবং স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে ‘শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা’ তৈরি করছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির নেতৃত্বে গবেষকরা এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, ভারতে তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’কে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
গতানুগতিক ভ্যাকসিনগুলির মতো একটি দুর্বল স্ট্রেন বা এর ছোট অংশগুলি ব্যবহার না করে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন শরীরকে ভাইরাসের একটি অংশ তৈরি করতে নির্দেশ দেয়। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, এটি কার্যকরভাবে জিনগত নির্দেশগুলি দেহকে জানিয়ে দেয় যে, কীভাবে কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-২ থেকে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করা যায়। একবার প্রোটিনের প্রতিলিপি তৈরি হয়ে গেলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ শুরু করে। এটি ভাইরাসটি সনাক্ত করতে শরীরকে প্রশিক্ষণ দেয়। ফলে সংক্রমতি ব্যক্তি অসুস্থ না হয়ে এটির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হন।
ব্রিস্টলের স্কুল অফ সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার মেডিসিন (সিএমএম) এর ডক্টর ডেভিড ম্যাথিউস এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা। এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি যে, এই ভ্যাকসিনটি যখন কোনও মানুষের কোষে প্রবেশ করবে তখন সঠিকভাবে জিনগত নির্দেশাবলী অনুসরণ করবে। এটি যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদভাবে বিকাশ করা হচ্ছে। এখন অবধি এটি প্রমাণ হয়নি, তবে আমরা এখন জানি যে ভ্যাকসিন আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে এবং এটি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি সুসংবাদ।’ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পরীক্ষার নেতৃত্বদানকারী সারা গিলবার্ট বলেন, ‘গবেষণাটি নিশ্চিত করেছে যে, এটি প্রচুর পরিমাণ করোনাভাইরাস স্পাইক প্রোটিন নির্ভুলভাবে উৎপাদন করতে পেরেছে। এবং এটি শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।’
এদিকে, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন এবার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। গত ২ অক্টোবর এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। অবশেষে সেই অনুমতি দেয়া হলো। এর অর্থ হল, কেন্দ্রের এই এজেন্সি এই ভ্যাকসিনটির প্রথম দুই পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলে সন্তুষ্ট। এবং এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনটি দেয়ার পর মানবদেহে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
তৃতীয় পর্বে তারা ১৮ বছরের বেশি বয়সি ২৮ হাজার ৫০০ জনকে এই ভ্যাকসিন দেবে। ভারতের মোট ১০টি রাজ্যের ১৯টি জায়গায় এই পরীক্ষা চলবে। এর মধ্যে দিল্লি, মুম্বই, পাটনা, লখনউয়ের মতো বড় শহরেও হবে ট্রায়াল। এই প্রক্রিয়ায় সাফল্য এলেই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে ভারত বায়টেক। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ হতে চলেছে। সূত্র: ইউকে মেট্রো, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।