পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের দুটি মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ওয়ারেন্টমূলে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়।
অপরদিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে ওয়ারেন্টমূলে রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের ওই দুটি মামলায় বিচার চলছে। ওই দুই মামলায়ই ওয়ারেন্ট জারি হয় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের এ সভাপতির বিরুদ্ধে।
এদিকে, রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তির দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে সাংবাদিকরা। অন্যত্থায় লাগাতার কর্মসূচির ডাক দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত¡রে বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিকরা এ আল্টিমেটাম দেন।
কর্মসূচিতে প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা জানি হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিনে আছেন এবং নি¤œ আদালতে সেটা কনফার্ম করেছেন। কিন্তু সেই মামলার হাজিরা দোহাই দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আশ্চর্য হয়ে যাই, একজন সাংবাদিক নেতাকে বিনা নোটিশে, কিভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনকে আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমরা এই প্রতিবাদের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দেই এবং ভবিষ্যতে যে সরকার আসবে তাকেও জানিয়ে দেই সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন মেনে নেওয়া হবে না।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আজকের মধ্যে যদি রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে লাগাতার কর্মসূচি করা হবে। এছাড়া রুহুল আমিন গাজীসহ আটক সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে ডিইউজের উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা ১১ টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, রাশেদুল হক ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসীন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।