মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুমুল লড়াইয়ে আর্মেনিয়ান বাহিনীকে হটিয়ে জাঙ্গালিয়া শহরসহ চার প্রদেশের ২৪ গ্রামে পতাকা উড়াল আজারবাইজান। এগুলো হলো, জাঙ্গালিয়া প্রদেশের জাঙ্গালিয়া শহর ও প্রদেশটির ছয়টি গ্রাম। এছাড়া অপর প্রদেশগুলো হলো, ফুজুলি, জাবরাইল ও খোজাভেন্ড। এই প্রদেশগুলোর ১৮ গ্রাম দখলমুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার আজেরি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এক ঘোষণার মাধ্যমে এ কথা জানান। প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ বলেন, জাঙ্গাইল শহর দখলকারীদের কবল থেকে মুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি জাঙ্গাইল প্রদেশের হাভালি, জারনালি, মামমাদবাইলি, হাকারি, শারিফান এবং মুগানলি গ্রাম মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ফুজুলি প্রদেশের দর্দচিনার, কুর্দলার, ইউখারি আবদুরহমানলি, গরঘাবাজার, আশাঘি ভিসল্লি, ইউখারী আইবাসানলি গ্রাম; জাবরাইল প্রদেশের সারাফশা, হাসাংগাইদি, ফুঘানলি, ইমামবাঘি, দাস ভেইসালি, আঘতাপা ও ইয়ারামাদলি গ্রাম; খোজাভেন্ড প্রদেশের আঘজাকান্দ, মুলকুদারা, দাশবাশি, গুনাশলি ও ভাং গ্রাম দখল মুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি এই গ্রামগুলোর নতুন আজারবাইজানি নাম দিয়েছি। হেরেইনাফতার ও ভাং গ্রামের পরিবর্তিত নাম হবে সিনারলি গ্রাম। নামটি ধন্য বলেও মন্তব্য করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়। ১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে। দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভ‚খÐ হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে লড়াই শুরু হয় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় চলতি মাসের প্রথম দিকে মস্কোতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। অবশ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর আজারবাইজান অভিযোগ করে, তাদের এলাকায় আর্মেনিয়া গোলাবর্ষণ করেছে। ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও চার মিনিটের মাথায় দুই দেশ গোলা বিনিময় শুরু করে। আজারবাইজান জানিয়েছে, তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়েহান বায়রামভ অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) নিরাপত্তা ও মানবাধিকার দেখভাল করা সংগঠন মিনস্ক গ্রæপের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছে। রয়টার্স, আনাদোলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।