Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দৌলতখানে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র পক্ষের সংঘর্ষ, আহত- ২০

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল নিক্ষেপ

দৌলতখান(ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২০, ৫:০৩ পিএম

ভোলার দৌলতখান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়েছে। দুই পক্ষই আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী। আহতদের মধ্যে ৯জন দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। দৌলতখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে । বর্তমানে দৌলতখান পৌর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যদিও বুধবার সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিদিনের মতো বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন তালুকদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুর রহমান (টিপু) মঙ্গলবার বিকালে মিছিল বের করে। দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান বোঝাতে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়। আওয়ামী লীগের এই দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা বিকাল থেকেই সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর পক্ষে শ্লোগান দেয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা। এতে প্রায় ২০জন আহত হয়। এ সময় সকল দোকানপাঠ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার ইনকিলাবকে বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ভোলা-২(দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাংসদের আগমন উপলক্ষে তাঁরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হামিদুর রহমান টিপুর কর্মী-সমর্থক অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁর ১৫জন কর্মী আহত করেছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করার লক্ষ্যে ওই প্রার্থী বহিরাগত লোকজন নিয়ে পৌরসভায় জমায়েত করে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
হামিদুর রহমান টিপু বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন তালুকদারের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়রের জামাতা কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে বহিরাগতরা তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় । এতে তাঁর ৩ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আট রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে । তবে কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ