মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গতকাল ছিল আজারবাইজানের স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে এদিন এক টুইট বার্তায় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং জনগণকে ‘উষ্ণ অভিনন্দন’ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বিতর্কিত নাগরোনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যকার সঙ্ঘাতের কথা উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘আমরা আজেরি বাহিনীকে তাদের আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার জন্য শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রস্তাব অনুসারে নাগারনো-কারাবাখ ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে পাকিস্তান আজারবাইজানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’
নাগরোনো-কারাবাখ আজারবাইজানের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকা যেখানে প্রধানত জাতিগত আর্মেনীয়রা বসবাস করে। তাদের বেশিরভাগই আর্মেনিয়াকে সমর্থণ করে। এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। শনিবার আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা মধ্যরাত থেকে ‘মানবিক সমঝোতা’ ঘোষণা করবে। যুদ্ধরত দুই পক্ষের জন্য এটি যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। গত শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন এবং মস্কোতে অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি ‘কঠোরভাবে অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার’ কথা তুলে ধরেন। এর পরেই সমঝোতার ঘোষণা আসে।
এ বিষয়ে গতকাল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘পাকিস্তান আরও মানবিক সংকট রোধে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সম্মত মানবিক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এটি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক উন্নয়ন। আমরা আশা করি যে, দুই পক্ষই এই চুক্তির প্রতি সম্মান জানাবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে, দু’পক্ষের মধ্যে টেকসই শান্তি জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের রেজুলেশনগুলির সম্পূর্ণ ও ব্যাপক প্রয়োগ এবং আজারবাইজানীয় অঞ্চল থেকে আর্মেনিয়ান বাহিনী প্রত্যাহারের উপর নির্ভর করবে।’
এর আগে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল প্যাসিনায়ন দাবি করেছিলেন যে, পাকিস্তানি বিশেষ বাহিনী আজারবাইজান সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করছে। শনিবার পাকিস্তান এই দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অযাচিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এক বিবৃতিতে, পররাষ্ট্র দফতর আর্মেনিয়ার নেতৃত্বকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন অপপ্রচার’ বন্ধ করতে এবং আজারবাইজানের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে সমর্থন দেয়ার কথা বলেছিল। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।