পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
(শুক্রবার প্রকাশিতের পর)
সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার আওতায়: চুরি-ছিনতাই, বাটপারি, ব্ল্যামেইল ছোট বড় যেকোন অপরাধ করে এখানে কেউ রেহায় পায় না, তাই ওগুলো সংঘটিতও হয় না। হবে কী করে? প্রতিটা মানুষের প্রতিটা পদক্ষেপ ক্যামেরায় রেকর্ডিং হচ্ছে। নিজের বাসা থেকে বের হয়েই আপনি ক্যামেরায় ট্রাকিং হতে থাকবেন, আর সেটা চলবে যতক্ষণ না আবার আপনি বাসায় ফিরছেন ততক্ষণ। কোথায় নেই ক্যামেরা? প্রতিটা অলিগলি, মাঠ, পাহাড়, নদীর কিনারা, পার্ক, সুপার মল সবখানেই ক্যামেরা আপনাকে ডিটেক্ট করবে। পৃথিবীর অন্যন্য উন্নত দেশে এত ক্যামেরা ট্র্যাকিং সিস্টেম আছে কিনা আমার জানা নেই। তাই এখানে কারো কোনো জিনিস হারানো গেলে সেটা খুঁজে বের করা যত সহজ, তা কল্পনাও করা যায় না, সেই সাথে মানুষের নিরাপত্তাও পুরোপুরি নিশ্চিত। সব জায়গাতেই মানুষের চলাচল নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা এবং কোনো রকম অস্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্যদের (পুলিশ, সেনাবাহিনী) টহল চোখে পড়ে। সেজন্য একজন মহিলাও এখানে রাত ১২টার পরে আরামচে সাইকেল চালিয়ে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফেরে।
কেনাকাটা: শ্রমিক থেকে উচ্চবিত্ত সবাই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। কাছে একটা ফোন থাকলে কেনাকাটা বা দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর জন্য আর কোনো কিছুর দরকার পড়ে না। কারণ, এখানে ক্যাশ টাকার কোনো লেনদেন নেই বললেই চলে। সেটা যত বড় বা ছোট পরিমাণের লেনদেন হোক না কেন। সরাসরি ব্যাঙ্কের সাথে যুক্ত উইচ্যাট (চাইনিজদের সর্বাধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম), আলি-পে (আলিবাবা পরিচালিত) অ্যাপসের মাধ্যমে সমস্ত কেনাকাটা কোনো ঝামেলা ছাড়াই মোবাইল ফোনে হয়ে যাচ্ছে। এই দুটো মোবাইলের অ্যাপসের কথা একটু আলাদাভাবে বলতেই হয়। এমন কোনো প্রয়োজনীয় কাজ নেই যে, এই অ্যাপস দুটোর সাহায্যে করা যায় না। যেকোন পরিবহনের (বিমান থেকে ট্যাক্সি) অগ্রিম টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং, রেস্টুরেন্টে সিট বুকিং, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন-সহ অন্যান্য অনেক সুবিধাদি, এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম-সহ যেকোন সময় যেকাউকে যেকোন পরিমাণ তাৎক্ষণিক আর্থিক লেনদেনের নির্ভরযোগ্য দুইটি অ্যাপস হচ্ছে উইচ্যাট এবং আলি-পে। প্রতিটা চীনা নাগরিকের এই অ্যাপস দুটো ব্যবাহারের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনকে অনেক বেশি ছন্দময় এবং সহজ করে নিয়েছে।
অনলাইন শপিং বা অন্যান্য যেকোন কেনাকাটা করার জন্য শুধু একটা মোবাইল ফোনই যথেষ্ট এবং এর ফলে যে সুবিধাগুলো আছে সেটা হলো: নেই টাকা ভাংতির ঝামেলা, ছেড়া অচল এবং জালটাকার ঝক্কি, সর্বপরি মানিব্যাগ নেওয়ার ঝামেলাও নেই। টাওবাও, টিমল, ফিনদউদউ, জেডি ডট কম নামে কিছু অনলাইন শপ আছে, যেগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে সুই থেকে শুরু করে প্রাইভেট কারও কেনা যায়। ঘরে বসে অর্ডার করার এক থেকে দুই তিন দিনের ভিতর (নির্ভর করে অর্ডারকৃত দোকানের দূরত্বের উপর) ডেলিভারি পাওয়া যায়, নেই কোনো দরদামে ঠকার ভয়। কারণ দাম যাচাই করে এবং গুণগত মান দেখে কেনা যায়। ডেলিভারি পাওয়ার পর ক্রয়কৃত মালামালে কোনো ত্রুটি (পরিবহনজনিত কারণে ভেঙে যাওয়া বা পণ্যের গুণগত মানের পরিবর্তন হলে) থাকলে সেটা বিনা পয়সায় পরিবর্তন অথবা টাকা ফেরত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুপার মল থেকে শুরু করে ছোটখাট প্রায় সব রকমের দোকানের হোম ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তাই সকালের নাস্তা, দুপুর কিংবা রাতের খাবার থেকে শুরু করে যেকোন প্রয়োজনীয় জিনিস মোবাইলে অর্ডার করার পরপরই খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রত্যেক দোকানের কিছু কর্মী নিয়োজিত আছে।
সবরকমের ইন্টারনেট ডাটা এখানে অনেক সাশ্রয়ী হওয়ায় যেকেউ সহজে ভালো মানের ফাইভ জি (৫এ) নেটওয়ার্ক সেবা পেয়ে থাকে। ২৯ ইউয়ান অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৩৫০ (আমি উক্ত প্যাকেজ ব্যবহার করি, অন্যান্য ক্ষেত্রে সামান্য কিছু কম বা বেশি হতে পারে) এর প্যকেজ দিয়ে সারামাস নির্বিঘ্নে আনলিমিটেড ফোন কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। কারণ ডিজিটালাইজড সবকিছুকে সবার নির্বিঘ্নে উপভোগ করার জন্য সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সেবা অতীব জরুরি।
চাইনিজ কৃষি: কৃষিতে এদের অভিনব সাফল্য রয়েছে। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, সীমিত চাষযোগ্য কৃষি ভূমি নিয়ে এই বিশাল জনসংখ্যার দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা মেটানো খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের। তাই বাধ্য হয়েই কিছুটা ভিন্ন ধাঁচের উন্নত কৃষি পদ্ধতি এদের অনুসরণ করতে হয়। কৃষি জমি প্রস্তুত, বীজ বপন থেকে শুরু করে ফসল কেটে প্যাকেটজাত করা, সবখানেই আধুনিক যন্ত্রপাতির ছোঁয়ায় খুবই সহজে হয়ে যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় চাষযোগ্য কৃষি জমির অপ্রতুলতার কারণে বাধ্য হয়ে চীনারা হাইব্রিড শাকসবজি চাষ করে। একবার আমাদের পাশের একটা কৃষি ফার্মে গিয়ে দেখেছিলাম, সবজি গাছগুলোতে বাম্পার ফলন, সবজির ভারে গাছগুলোর মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটুকু নেই। কৃষি জমি থেকে শুরু করে সব জমাজমি সরকারের তত্ত্বাবধায়নে থাকে, সরকার থেকে নির্দিষ্ট সময়ের লিজ নিয়ে তবেই কৃষক-সহ অন্যান্য জনগণ ব্যবহারের অনুমতি পায়। সেজন্য জমাজমি নিয়ে কারো ভিতর কোনো বিরোধ নেই।
পরিবেশ বান্ধব ই-বাইক, সাইকেল, প্রাইভেট কার: রাস্তার দুইপাশ সাজিয়ে রাখা আছে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে প্রদান করা সারি সারি ই-বাইক, সাইকেল আর প্রাইভেটকার। সবগুলোই সেলফ সার্ভিস মানে নিজেদের ড্রাইভ করতে হবে, মোবাইলের অ্যাপসের মাধ্যমে পরিবহনের গায়ে লাগানো কিউআর কোর্ড স্ক্যান করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক খুলে যায়। তারপর পথচারী নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছিয়ে সেগুলোকে আবার লক করে রাখে, যাতে করে অন্য যেকেউ আবার সেটাকে ব্যবহার করতে পারে। প্রাইভেট কার ও একইভাবে রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট স্থানে পার্ক করে রাখা আছে, যারা ফ্যমিলিসহ একটু দূরে কোথাও যেতে চায় তাদের ক্ষেত্রে এটা খুবই উপযোগী। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
পাবলিক বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, ই-বাইক, সাইকেলের অধিকাংশই ব্যাটারি চালিত অর্থাৎ পরিবেশ বান্ধব। প্রতিটা কোম্পানির বেশ কিছু কর্মী আছে, তারা অ্যাপসের মাধ্যমে জানতে পারেন সাইকেল বা গাড়িগুলো কোথায় রাখা আছে। তাদের মাঝরাতের ডিউটি হলো, প্রতিটা সাইকেল, ই-বাইক, গাড়িগুলো আবার জনবহুল এলাকার নির্ধারিত স্থানে রেখে যাওয়া এবং ব্যাটারি পরিবর্তন করে ফুল চার্জের ব্যাটারি দিয়ে যাওয়া। যাতে করে অফিস টাইমে পথচারীরা সবাই পর্যাপ্ত সংখ্যক পরিবহন হাতের কাছে পায়। এগুলোর ভাড়াও খুব কম এবং স্ক্যান করার পর থেকেই ভাড়া কাটা শুরু করে আর লক করলেই বন্ধ হয়। সাইকেল, ই-বাইকের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ১-২ ইউয়ান এর মতো আর গাড়ির ক্ষেত্রে সেটা দূরত্ব ও সময়ের উপর নির্ভর করে।
কর্মক্ষেত্রে নারীরা: রাস্তায় বা বিভিন্ন শপিং মলে সবখানে মহিলাদের আধিক্য দেখা যায়। তাদের দেখলেই সহজেই ধারণা করা যায়, এখানে মহিলারা অনেক বেশি কর্মক্ষম। সমস্ত দোকানপাট, বড় বড় শপিং মল, বাস, ট্রাক, মেট্রো সবকিছু মহিলাদের তত্ত্বাবধানে চলে। নির্মাণ কাজের শ্রমিক হিসাবেও পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অধিক উপস্থিতি লক্ষনীয়। একজন মহিলা যখন কয়েক টন মালামালসহ বিশাল আকৃতির ট্রাক নিজ হাতে দক্ষতার সাথে চালনা করে নিয়ে যায় তখন সহজেই চীনা মহিলারা কতটা কর্মক্ষম।
পাবলিক পরিবহন এবং পাবলিক প্লেসে (পার্কসহ বিভিন্ন ঘোরার জায়গা) কোথাও হকার দেখতে পাওয়া যায় না। কোথাও কোনো ভিখারি চোখে পড়ে না, তবে মাঝেমধ্যে রাস্তার পাশে জনবহুল কিছু এলাকায় শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র (ভায়োলিন, বাঁশি ইত্যাদি) বাজিয়ে বা নিজের গলায় স্পিকারে গান করতে দেখেছি। কারও মনে চাইলে তাদের সামনে রাখা কিউআর কোর্ড মোবাইলে স্ক্যান করে কিছু টাকা দিয়ে চলে যাচ্ছে।
দেশকে উন্নতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে যেটা সবচেয়ে বেশি উপযোগী সেটা হল রিসার্চ এবং টেকনোলজি এবং এটাতেও চীনারা এখন বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে অবস্থান করছে। একজন গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষককে এরা অনেক বেশি মূল্যায়ন করে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ উন্নত দেশকে টপকে যাওয়া চীনের এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এছাড়াও কিছু জিনিস সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই এখানে, তাই লোডশেডিং বা পাওয়ার কাট জিনিসটা এদের সাথে যায় না, সারাক্ষণই নিরবিচ্ছিন্ন পাওয়ার সাপ্লাই সবখানেই থাকে। বেশিরভাগ পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রগুলোর কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। সবখানেই শিশুদের খেলনার রাইড আছে, আর সর্বাধুনিক পাবলিক টয়লেটগুলোতে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়নে সুইপার নিয়োযিত, এগুলোর ব্যবহারে কোনো টাকা দিতে হয় না। অনেকের মুখে শুনেছি, কিছু প্রদেশ যেমন: সাংহাই, বেইজিং, গুয়াংজু... এগুলোর কিছু কিছু শহর নাকি ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের কিছু অত্যাধুনিক শহরকেও হার মানায়। রাজনৈতিক অস্থিরতা (হরতাল, অবরোধ, মিছিল), ছাত্র রাজনীতি এগুলো কখনো চোখে পড়েনি। মানুষের জীবনের মূল্য এদের কাছে অনেক বেশি, তাই গাড়ি দুর্ঘটনায়, আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মানুষ মরতে শুনিনি। অনেক চীনা বন্ধুদের সাথে কথা বলে বুঝেছি, তারা সবাই সরকারের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সবকিছু মিলিয়ে সব দিকে তাকালে অনেকটাই শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে চায়নাকে বিবেচিত করা যায়।
কিছু খারাপ দিকের ভিতরে এরা সারাক্ষণই মোবাইলে বিজি থাকে, সেটা রাস্তা পারাপার, গাড়ি চালানো, খাওয়া বা অন্য যেকোন সময় হতে পারে। ইংরেজি প্রয়োজন না হওয়ায় এরা খুব কমই ইংরেজি বলতে পারে। কারণ ছোট থেকে এদের ইংরেজি শেখানো হতো না। সফটওয়্যার, অ্যাপস সবকিছু নিজেদের ভাষায় ব্যবহার উপযোগী, এজন্য এসবের কোনকিছুতে এদের ইংরেজির দরকার পড়ে না। সামান্য হাই-হ্যালো, ইয়েস-নো বলার মতও ইংরেজি বেশিরভাগ লোকের জানা নেই। সেজন্য চাইনিজ ভাষা না জেনে বিদেশি নতুন কেউ এখানে এলে প্রথম প্রথম তাকে একটু বিপাকেই পড়তে হবে। চীনে গুগল ব্যবহারে অনুমতি নেই, তাই যেকেউ এখানে এলে গুগল বা গুগলের কোনো অ্যাপস (ফেসবুক, জিমেইল, গুগল স্কলার, প্লে স্টোর ইত্যাদি) ব্যবহার করতে পারে না। সেক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করে প্রয়োজনী গুগল সম্পর্কিত কাজ সেরে নিতে হয়।
কর্মসংস্থানের অভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যক্তি স্বার্থের চিন্তা যেকোন দেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়গুলোর মধ্যে অন্যতম। চীন বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল এবং আমাদের ভূখন্ডের খুবই কাছে অবস্থিত প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে থাকা একটি রাষ্ট্র। আমাদেরও আছে বিপুল জনশক্তি, রয়েছে অপার সম্ভবনাময় ভবিষ্যৎ। তাই আমরাও একদিন তাদের দেখে উন্নত থেকে উন্নততর বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাব এ আশাটুকু করতেই পারি। (সমাপ্ত)
লেখক : গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এবং ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজিয়ান, চীন।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।