পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা দ্য প্রিন্টের প্রধান সম্পাদক শেখর গুপ্ত বলেছেন যে, আইএমএফ অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ভারতের জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাবে এবং ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের সবচেয়ে সঙ্কুচিত অর্থনীতিগুলির অন্তর্গত হবে। ‘যদি এমনটি ঘটে, তাহলে, এটি ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এর প্রসঙ্গে চোখ খুলে দেবে।’ সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত ভারতের নিম্নগামী অর্থনীতি এবং এর কারণ সংক্রান্ত এক বিশেষ আলোচনায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারতের একমাত্র বড় বন্ধু ছিল। কিস্তু সিএএ নিয়ে রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বৈরিতা এবং সম্পূর্ণ বিদ্বেষমূলক প্রচারণা বাংলাদেশকে চীনের দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং এ সুযোগে চীনও বাংলাদেশের দিকে অবারিত বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে এত স্পর্শকাতর যে, এমনকি আমেরিকাও তার চারপাশের চীনা প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন।’
গত মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড-আইএমএফ’র গ্লোবাল ইকোনমিক আউটলুকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ বছরে ভারত মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশের থেকে ৪০ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছে। মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে গুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা সূচক, লিঙ্গ বিকাশ সূচক, বিশ্ব সুখ সূচক, টিকাদান, শিশুমৃত্যু ইত্যাদির মতো সমস্ত সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। ভারত কেবলমাত্র দুটি সূচকে এগিয়ে ছিল, মাথাপিছু আয় এবং মানব উন্নয়ন সূচকে। তিনি আরো বলেছেন, ‘বিগত ৫ বছরে যা ঘটেছে, সে সম্পর্কে ভারতকে তার নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করা উচিত। কারণ ভারত আবারও একটি বাণিজ্য বিদ্বেষ, বৈদেশিক বাণিজ্য বিপর্যয়ে ফিরে গেছে। বাংলাদেশ যখন রফতানিতে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে, তখন ভারতের রফতানি হ্রাস পেয়েছে এবং স্থবির হয়ে পড়েছে।’ গুপ্তের মতে, ৫ বছর আগে ভারতের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৯.১ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে ভারতের বেড়েছে মাত্র ৩.২ শতাংশ।
আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮শ’ ৮৮ ডলার। আর একই সময়ে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১ হাজার ৮ শ’ ৭৭ ডলার। চলতি বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। আইএমএফের এ পূর্বাভাস ঠিক থাকলে ভারত মাথাপিছু জিডিপির ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও নেপালের থেকে সামান্য এগিয়ে থাকবে। এবং বাংলাদেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপালের আগে চলে আসবে। ভারতীয় অর্থনীতি ১০.৩ থেকে ১০.৬ শতাংশের মধ্যে যে কোনও জায়গায় পড়বে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সূত্র : দ্য প্রিন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।