বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম সৌদি প্রবাসী। বড় ভাই নজরুল ইসলাম দেশেই আছেন । কিন্তু ছোট ভাইয়ের নাম ব্যবহার করে বড় ভাই নজরুল ইসলাম মাদ্রাসার নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। অথচ রফিকুল ইসলাম জীবিকার তাগিদে ২০১৮ সাল থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন । এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বণগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে । রফিকুল ও নজরুল মধ্য বণগ্রামের আ. ছালামের ছেলে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ পত্রে এলাকার ৩২ জন গন্যমান্য ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, মাদ্রসার সুপার মো. ইউনুস আলী ও মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাদাত আলী মোল্লা অর্থের বিনিময়ে ছেট ভাইয়ের স্থলে বড় ভাইকে নিয়োগ দিয়েছেন।
বণগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক দু’ সভাপতি এনামুল হক ও নূরুল হক মাতুব্বর বলেন, মাদ্রাসার সুপার ও শিক্ষা কর্মকর্তা ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে গত ২৭ আগস্ট মাদ্রসার নিরাপত্তা কর্মী পদে রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছেন। রফিকুল সম্পর্কে আমাদের ভাতিজা । সে ২০১৮ সালে সৌদি আরবে গেছে। সেই রফিকুলের নাম ব্যবহার করে তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম চাকুরি করছে । যে ছেলেটা বিদেশে রয়েছে তাকে কি করে চাকুরি দেয় ? এটা কি করে সম্ভব ? বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছি।
বণগ্রামের নাজিমুদ্দিন বলেন, নিরাপত্তা কর্মী পদে আমিসহ ৬ জন প্রার্থী ছিলাম। শিক্ষকরা এক এক জন প্রার্থীকে ডেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেন। এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলামের নাম ডাকা হয়। তখন তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে যায়। নজরুল বণগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ছাত্র ছিলো ও আমার পূর্ব পরিচিত। কেন এই জালিয়াতি করা হলো ? আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে বনগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ইউনুছ আলী বলেন, আমরা বিধি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি । যদি কোন প্রার্থী তথ্য গোপন করে, তার জন্য আমরা দায়ী নই। আর এখানে নিয়োগে অর্থের কোন লেনদেন হয়নি । এ বিষয়টি ডিজির প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দেখার দায়িত্ব ।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার নিয়োগপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, আমার সব কাগজপত্র ঠিক আছে । আমি স্থানীয় দলীয় কোন্দলের শিকার।
মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন মোল্লা বলেন, আমরা নিয়োগ বিধি মোতাবেক নিয়োগ দিয়েছি । যদি কেউ তথ্য গোপন করে সে দায়িত্ব তার ।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি , আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব । এ ঘটনায় যদি কোন ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।