Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেলকুচিতে শিক্ষক নিয়োগের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

বেলকুচিতে এক মাদরাসা প্রিন্সিপালসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল নুরুল ইসলাম মোল্লাসহ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বদিউজ্জামান বদির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদরাসায় অর্থের বিনিময়ে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগকালিন সময় প্রত্যেক শিক্ষকের নিকট থেকে মাদরাসার উন্নয়ন খাতে ব্যয় বাবদ ৪ লাখ করে মোট ১৬ লাখ টাকা নেয়া হয়। যা মাদরাসার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা না করে বরং সেই টাকা গড়েছেন নিজস্ব পুঁজি। এতে নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হলেও ঐ প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান চোখে পরার মতো ৯ বছরে কোন উন্নয়ন সাধিত হয়নি। এ বিষয়ে দেলুয়া সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল নুরুল ইসলাম জানান, আমি ভিনদেশি মানুষ। সভাপতি এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। নিয়োগের বিষয়ে আমি কোন টাকা নেইনি। তবে টাকা পয়সা নেয়া হয়েছে কি না, তা জানেন মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদি। তিনি যেভাবে আমাকে নির্দেশনা দেন আমি সেভাবেই মাদরাসা পরিচালনা করে থাকি। এ প্রসঙ্গে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী বদিউজ্জামাল বদি জানান, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্রার্থীদের নিকট থেকে ২০-৫০ হাজার টাকা নেয়া হলেও সে সব টাকা পরীক্ষা নেয়ার পেছনে খরচ করা হয়েছে। তা বাদে আর কোন টাকা পয়সা কারও নিকট থেকে গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা জানান, যে সময় শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ঐ সময় আমি এখানে ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেলকুচিতে শিক্ষক নিয়োগের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ