Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজার সৈকতে অবৈধ ৫২ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা, অবৈধ দখল ছাড়তে ২৪ ঘন্টা সময়

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ৮:১২ পিএম

সৈকতের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টের সেই ৫২ জনের স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও আইনী অযুহাতে দখলকারা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয়। এতে করে ওই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে অভিযানকারীরা।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে ছিলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদ, কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনির উল গীয়াসের নেতৃত্বাধীন টিম।
তবে, অভিযানে গিযে ব্যবসায়ীদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় প্রশাসনের যৌথ টিম। স্থাপনা উচ্ছেদ না করে বিকাল ৪ টার দিকে ফিরে যায় তারা।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার জানান, আদালতের নির্দেশে তারা সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে যায়। অনেকে মালামাল সরিয়ে নেয়। কিছু ব্যবসায়ী সময় চাওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি ।

গত ১ অক্টোবর সমুদ্র সৈকতের কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্টে ৫২ জনের স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের দেওয়া রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই ৫২ ব্যক্তির স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো বাধা নেই।
ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল উচ্ছেদের নোটিশ দেয় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
পরে জসিম উদ্দিনসহ ৫২ জন একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। একই বছরের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।
একই বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিভিউ মামলা করেছে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। যা আদালতে চলমান।
এদিকে সুগন্ধা পয়েন্টের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে গৃহহারা মানুষদের জন্য গৃহ তৈরি করে দিচ্ছেন। কর্মহীনদের জন্য বিকল্প কর্ম সৃষ্টি করছেন। প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের স্থান করে দিয়েছেন।
ঠিক এমন সময়ে পর্যটন নগরীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া নতুন ষড়যন্ত্র কিনা? তা খতিয়ে দেখতে সভা থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাদের প্রশ্ন, বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জায়গা দিতে পারলে কক্সবাজারবাসীকে কেন উচ্ছেদ করা হবে?
আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ মানে আদালতকে অবমাননা করা। বিচারকের সিদ্ধান্তের আগে যদি কোনো অবিচার করা হয় তাহলে আইনগতভাবে তা মোকাবেলা করবে বলে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কক্সবাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ