Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) ও ঢাকা জেলা প্রশাসন। তবে অলিখিত নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা বাসিন্দারা।

গতকাল রোববার সকালে বিআইডবিøউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওবায়দুল্লাহর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। আদি চ্যানেলের ওপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা বাস্তুহারা লীগের লালবাগের প্রধান কার্যালয়সহ বেশ কিছু কাঁচাপাঁকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বিআইডবিøউটিএ’র ঢাকা বন্দরের উপপরিচালক গুলজার আলী ইনকিলাবকে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ছয় দিনব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযানে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বিআইডবিøউটিএ যৌথভাবে পরিচালনা করবে। বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলটি উদ্ধারে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে উচ্ছেদ চলাকালীন মানববন্ধন করেছেন শহীদ নগরে উচ্ছেদের শিকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, কোনো ধরনের লিখিত নোটিশ ছাড়াই নিজেদের বৈধ ভিটা থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিন দিনের মৌখিক নোটিশে বাড়ি ছাড়া খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। উচ্ছেদের শিকার শহীদনগরের বাসিন্দা মো. সাগীর আহম্মেদ সুজন বলেন, দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর যাবৎ আমরা এখানে ইমারত ও সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে ৫-৭ হাজার লোক সুখে-শান্তিতে বসবাস করছি। কিন্তু হঠাৎ গত ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষে বিআইডবিøউটিএ উচ্ছেদ অভিযানের কথা জানিয়ে মাইকিং করে।

সেখান থেকে আমরা জানতে পারি আজ সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অনাকাঙ্খিত। কারণ, আমাদের পক্ষে জজ কোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তি হিসেবে আদেশ আছে।

বাসিন্দা মোহাম্মদ শাজাহান বলেন, আমাদের এভাবে হঠাৎ করে চলে যেতে বলার কোনো মানে নেই। আমরা হাইকোর্টের আদেশক্রমে এখানে বসবাস করছি। আমাদের কিছু সময় দেওয়া হোক। যদি আমাদের কাগজপত্র অবৈধ হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা এখান থেকে চলে যাব। অথচ এই সময়টুকু না দিয়েই আমাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমাদের কাছে জমির সকল কাগজপত্র আছে।

উচ্ছেদ অভিযানে আল হলি কুরআন নামে একটি মাদরাসার স্থাপনাও ভেঙে দেওয়া হয়। মাদরাসা সংশ্লিষ্ট মো. আজাদি বলেন, এখানে মাদরাসা ও স্কুলসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ছিল। এগুলো তো তিন দিনের মধ্যে গুছিয়ে অন্য জায়গায় নেওয়া সম্ভব না। আমাদের জমির কাগজপত্র সব আছে। গত বৃহস্পতিবার মাইকিং করেছে গতকাল ভাঙা হবে। মাঝখানে শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকায় আমরা আদালতে যেতে পারি নাই। এমনভাবে আমাদের উচ্ছেদ করছে যেন আমরা আইনি সহায়তাও নিতে না পারি। এটা ঠিক না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ