Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বালিয়াকান্দিতে রাতে ইন্টারভিউ কার্ড প্রদান, সকালে পরীক্ষা গ্রহণ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২০, ৫:০৫ পিএম

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের শালমারা বায়তুল আমান দাখিল মাদ্রাসায় সুপার, আয়া ও নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগে প্রশ্নপত্র ফাঁস, মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ, রাতে ইন্টারভিউ কার্ড দিয়ে সকালে পরীক্ষা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও সভাপতি জালিয়াতি, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যে ও পক্ষপাতিত্য করে নিয়োগ কমিটি নিয়োগ সম্পন্ন করেছে বলে দাবী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, শালমারা বায়তুল আমান দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার মোহাম্মদ মোকাদ্দেস হোসেন।

তিনি গত ৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শালমারা বায়তুল আমান দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার ও সুপার পদের প্রার্থী মোহাম্মদ মোকাদ্দেস হোসেন অভিযোগে জানান, তিনি সহ-সুপার হিসেবে কর্মরত থাকার কারণে সুপার পদ শুন্য হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর সুপার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় তিনি প্রার্থী হওয়ার কারণে নিয়ম মতে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে সহকারী শিক্ষক মো. শাহজাহানকে (ভারপ্রাপ্ত) সুপারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় ১৫ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সভাপতি সাহেব আমাকে ফোনে তার বাড়ীতে ডেকে রাত ৮টার সময় ইন্টারভিউ কার্ড দিয়ে বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় সুপার পদে ইন্টারভিউ হবে। পরীক্ষার আগের দিন রাত ৮টায় ইন্টারভিউ কার্ড পেয়ে পরের দিন সকাল ১০টায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা, এটা সরকারী নিয়ম বহির্ভূত কি না সেটা জানার জন্য আবেদন করেছি। সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সুপার জালিয়াতি, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্যে ও পক্ষপাতিত্ব করে নিয়োগ কমিটির সাথে যোগসাজসে আমাকে ঠকিয়ে মোঃ নুজরুল ইসলামকে সুপার পদে নিয়োগের পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আয়া পদে আবেদনকারী মাহফুজার স্বামী আশরাফ হোসেন জানান, মাদ্রাসায় আমার জমি রয়েছে। আয়া পদে ৪জন আবেদন করেন। একজনের আবেদন আগেই বাতিল করা হয়। সভাপতি আমাকে জানায় তোমার বউয়ের চারিত্রিক সনদ দেওয়া নেই, আবেদন ফেলে দিয়েছে। পরে পরীক্ষার আগের দিন রাত ৮টায় পিয়ন গিয়ে বাড়ীতে ইন্টারভিউ কার্ড দিয়ে বলে, সকাল ১০টায় পরীক্ষা। এ কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিনি। তবে দু,জন প্রার্থী কিভাবে পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ হলো, তা জানা নেই।
শালমারা বায়তুল আমান দাখিল মাদ্রাসার দাতা সদস্য ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মো. সাখাওয়াত হোসেন বাদশা জানান, সুপার, আয়া ও নৈশপ্রহরী পদে গত ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে আমি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানাই। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার মামা ডা. জাফর জড়িত। কমিটির মেয়াদ নিয়োগের দিন শেষ হওয়ার কারণে তারা সকল বাঁধা উপেক্ষা করেই নিয়োগ সম্পন্ন করেন শালমারা বায়তুল আমান দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. শাহজানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিপ করেননি।
শালমারা বায়তুল আমান দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, নিয়মানুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। যে অভিযোগ দিয়েছিল আমরা তার জবাব দিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়সার বলেন, ডিজির প্রতিনিধি প্রশ্নপত্র তৈরী করেছে ও পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন, আমরা শুধু সাথে ছিলাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পরীক্ষা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ