বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বান্দরবানের সুয়ালকে ঘরবাড়ি ভাংচুর, স্বর্ণলকারলুটপাটসহ ঘরের মালিক উপর হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মইশখালী পাড়ায় মঙ্গলবার (১৩অক্টোবর) ভোর ৪টায় দলবল নিয়ে হামলা, লুটপাট ও ঘরবাড়ি ভাংচুর চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোকজন ও কইডা হাজি'র ছোট ভাই ক্ষতিগ্রস্ত ওসিউর রহমান অভিযোগ করেন, মইশখালী পাড়ার হাজি শফিকুর রহমান (কইডা হাজি) ও তারপুত্র সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ১৩ অক্টোবর ভোর ৪টায় এই হামলা ও লুটপাট চালায়।
ওসিউর রহমান আরো বলেন, মইশখালী পাড়ায় আমার বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলাম। ভোর ৪টার সময় হঠাৎ আমার বড় ভাই শফিকুর রহমান ও তার পুত্র ফরিদ, জাহাঙ্গীরসহ তাদের কিছু সাঙ্গপাঙ্গ অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার কাছ থেকে নগদ টাকা, রক্ষিত স্বর্ণলকার নিয়ে যায় এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
তিনি আরো জানান, তিন হোল্ডিংএ ওনার নামে প্রায় ৩ একর জমি তৌজি ভুক্ত আছে। কিন্তু তার বড় ভাই কইডা হাজি, তার পুত্র জাহাঙ্গীর আমার জমি দখল করার পায়তারা করছে দীর্ঘদিন ধরে।
তিনি বলেন, আমার ঘর ভাংচুরের সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সবুর উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি বারংবার নিষেধ করার পরও তারা ভাংচুর ও লুটরাজ চালায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সবুর জানান, হাজি শফির পুত্রদের নিষেধ করার পরও ভাংচুর চালায়।
মইশখালী পাড়ার এলাকাবাসী জানায় হাজ্বি শফিকুর রহমান প্রকাশ কইডা হাজি অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি মামলাবাজ হিসেবেও পরিচিত। কইডা হাজি ও তার পুত্র জাহাঙ্গীরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়াময়্যান ও সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান এই বিরোদীয় জমি নিয়ে গ্রাম্য আদালতে সালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেন। সেই মিমাংসা কিইডা হাজি মানেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।