নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সকাল সব সময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। অন্তত আইপিএলে তো কখনোই না। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ওটা যে আসলে দুর্ঘটনা ছিল, সেটা টুর্নামেন্টের প্রথমার্ধে প্রমাণ করে ফেলেছে তারা। হারের চক্রে আটকে যাওয়া দলটি পরশু ৩৭ রানে হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে।
প্রথম সাত ম্যাচে মাত্র দুটি জয় পেয়েছে চেন্নাই। প্রথম ম্যাচে মুম্বাইকে হারিয়ে দেওয়ার পর একমাত্র কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকেই হারাতে পেরেছে তারা। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বাজে দলের বিপক্ষে পাওয়া সে জয়ই এখনো প্লে অফ খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে এদিনও যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও তার দল, তাতে টুর্নামেন্টের পরের সাত ম্যাচেও তাঁদের খুব একটা সুযোগ দেখছেন না কেউ। বেঙ্গালুরুর দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য থেকে ৩৮ রান দ‚রে থেমেছে চেন্নাই।
হারের ব্যবধানের চেয়েও ধরনটা চিন্তায় ফেলবে দলটিকে। রান তাড়ার কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি জেতার সম্ভাবনা আছে তাঁদের। দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও ফাফ ডু প্লেসি পাওয়ার প্লেতেই ফিরেছেন। প্রথম ৬ ওভারেই যেখানে রান তোলার সুযোগ, সে সময়টায় ২ উইকেট হারিয়ে মোটে ২৬ তুলেছে চেন্নাই। ১০ ওভার পেরিয়ে গিয়ে তবে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে দলের স্কোর। আইপিএলে এ নিয়ে মাত্র চতুর্থবার কোনো দল প্রথম ১০ ওভারে পঞ্চাশ পার হতে ব্যর্থ হলো। চেন্নাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হলো, এর তিনটি ‘কীর্তি’ই তাদের।
এদিকে, অধিনায়কোচিত ইনিংস কীভাবে খেলতে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। প্রথম কয়েক ম্যাচে রান পাননি বলে কত সমালোচনা! সে সমালোচনার জবাবটা দারুণভাবে দিচ্ছেন কোহলি। গত ম্যাচে দলের ভয়ংকর ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝেও ৪৩ করেছেন। এর আগের ম্যাচে তো দল জেতানো অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসই খেলেছেন। আর পরশু খেললেন নিজের সেরা ইনিংস। অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংস খেলতে তার দরকার হলো মাত্র ৫২ বল। চারটি চার ও চারটি ছক্কার ইনিংসটাই দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দিল। অ্যারন ফিঞ্চ ও এবি ডি ডি ভিলিয়ার্স দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন। দেবদূত পাদিক্কালও (৩৩) দশ ওভার শেষ হতেই বিদায় নিয়েছেন। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে একাই দলের ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন কোহলি। ওয়াশিংটন সুন্দর (১০) ও শিবম দুবের (২২) ছোট দুই ইনিংসই যথেষ্ট ছিল তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। শেষ ৪ ওভারে কোহলিরা তুলেছেন ৬৯ রান। মজার ব্যাপার হলো, চেন্নাইয়ের শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিল ৬৪ রান। কিন্তু চেন্নাইয়ে এদিন কোহলি হতে পারেননি কেউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।