পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কারাবাখে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে শনিবার ফের আজারবাইজানে হামলা চালিয়েছে আর্মেনিয়া। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চালানো হামলায় গুনদুজ হুসেইনভ (৪৬) চেমেলনি নামে এক আজারবাইজানের বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারান। এ নিয়ে ৩২ বেসামরিক লোক আর্মেনিয়ার হামলায় নিহত হয়েছেন। দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য অভিযুক্ত করছে। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মস্কোতে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে উভয় দেশের সঙ্গে আলোচনা করেন। কারাবাখের জাতিগত আর্মেনীয় ও আজারবাইজানের সঙ্গে মানবিক কারণে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি ও লাশ হস্তান্তরের জন্য সাময়িক যুদ্ধ বন্ধের আহŸান জানান। এতে উভয় দেশই সম্মত হয়। ২৭ সেপ্টম্বরের পর দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর মস্কো আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে প্রথমবারের মতো ক‚টনৈতিক তৎপরতা চালায়। এই যুদ্ধে দুই দেশের তিন শতাধিক সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভ‚খÐ। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা নিয়ন্ত্রণ করছেন। উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি গোলা নিক্ষেপের পর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করছে, ইয়েরেভের অভ্যন্তরে বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে আজারবাইজান। এদিকে আজারবাইজান দাবি করছে, আজারি ভ‚খÐে শত্রæপক্ষ গোলা নিক্ষেপ করেছে। বাকুতে এক সংবাদ সম্মেলনে আজারি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আজারবাইজান আশা করেছিল সময়মতো আরও অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করবে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে উভয় দেশের সঙ্গে ১০ ঘণ্টা আলোচনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, মানবিক কারণে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি বলেছে, উভয় দেশ থেকে একই সঙ্গে লাশ হস্তান্তর ও যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের জন্য তারা প্রস্তুত। অপরদিকে, আজারবাইজানের অধিকৃত অঞ্চল আর্মেনিয়াকে অবশ্যই সমর্পণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে তুরস্ক। শনিবার আঙ্কারার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় এ কথা বলে। মন্ত্রণালয়ের টুইটে বলা হয়, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী বিরত্বপ‚র্ণভাবে অধিকৃত অঞ্চলগুলো মুক্ত করে বিজয় অর্জন করেছে। আর্মেনিয়াকে অবশ্যই অধিকৃত অঞ্চল তাদের অধিকারপ‚র্ণ মালিকের কাছে সমর্পণ করতে হবে। আঙ্কারা বাকুকে সমর্থন করছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনর্ব্যক্ত করে। ‘আমরা আজারবাইজানি তার্কিশ ভাই-বোনদের পাশে শেষ পর্যন্ত পাশে থাকব। এদিকে যুদ্ধ বিরতি নিয়ে তুরস্ক বলছে, যুদ্ধবিরতি প্রথম ধাপ, তবে স্থায়ী সমাধান নয়। এক বিবৃতিতে তুরস্ক বলেছে, আলোচনার টেবিলে আঙ্গারা আজারবাইজানকে সমর্থন করে। তুরস্ক বাকুর নিজস্ব অধিকারকে সমর্থন করে এবং আর্মেনিয়ার দখলদার বাহিনীকে অধিকৃত এলাকা থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে। কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভ‚খÐ হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা প্রায় তিন দশক ধরে দখলে রেখেছে। ইয়েনি শাফাক, আনাদোলু, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।