পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ছোট্ট শিশু থেকে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, মা ও মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ, প্রতিবন্ধী ধর্ষণ, বাবার সামনে মেয়েকে ধর্ষণ- সবই দেখছে বাংলাদেশ। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, কর্মস্থলে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, চলন্ত বাসে ধর্ষণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণ, এমনকি নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান- নিজের ঘরে থেকেও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
মানুষের দ্বারা সংগঠিত ঘৃণ্য অপরাধগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হলো ধর্ষণ। ধর্ষণ আমাদের সমাজে কোনো নতুন বিষয় নয়, কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ধর্ষণের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা, বিশেষ করে হত্যা, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে মহামারির চেয়েও ভয়ংকর রূপে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণ। দিন দিন মানুষের নৈতিক ও মানসিক মূল্যবোধের অবনতি ঘটছে। দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চললেও ঘৃণ্য এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের সাজার হার খুবই কম। ধর্ষণের শাস্তি সব সমাজ ব্যবস্থাতেই রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রভেদে তাতে তারতম্য দেখা যায়। একজন নারী বা শিশু ধর্ষিতা হবার পর আদালতে বিচার প্রার্থনা করলে বহুলাংশে নাজেহাল হয়ে থাকে। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ সহজে ঘটানো যায়, কিন্তু এটা প্রমাণ করা খুবই কঠিন বিষয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৭৫ জন। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার ৭৬২, আর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ২০৮ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৪৩ জন এবং আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন নারী। আর ১৬১ জন নারী হয়েছেন যৌন হয়রানির শিকার। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনজন নারী ও নয়জন পুরুষ নিহত হয়েছেন। আসক-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৪১৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৬ জনকে। আর আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১০ জন নারী। ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮১৮ জন নারী। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৩২। ২০১৯ সালে ১১৮ দেশের মধ্যে পরিচালিত সমীক্ষা অনুযায়ী, ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশ হলো: সাউথ আফ্রিকা, বোতসোয়ানা, লেসোথো, সোয়াজিল্যান্ড, বারমুডা, সুইডেন, সুরিনাম, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া ও গ্রানাডা। ৪০তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের প্রতি এক লাখ নারীর মধ্যে প্রায় ১০ জন ধর্ষণের শিকার হয়। ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এরপরই রয়েছে শিশুরা। অর্থাৎ অল্প বয়সী মেয়েরা, যাদের প্রতিরোধের শক্তি-সাহস নেই, তারাই ধর্ষণের শিকার হচ্ছে বেশি। জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন ও গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৩৫ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী জীবনের কোনো না কোনো সময় খুব কাছের মানুষের দ্বারা এই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের চলতি বছরের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার ৪০ শতাংশ নারী নির্যাতিত হয়েও চুপ থাকেন। ১০ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেন।
ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চরম নৈতিক অবক্ষয়, আকাশ সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব, মাদকের বিস্তার, ধর্ষণসংশ্লিষ্ট আইনের সীমাবদ্ধতা, বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং সর্বোপরি বিচারহীনতা। বিচার না পাওয়ায় যেটা হয়, অপরাধী ধর্ষণের শিকার নারীর সামনেই ঘুরে বেড়ায়। এটা শুধু তার জীবনকেই দুর্বিষহ করে না, তার পরিবারের সদস্যদেরও বিপর্যস্ত করে। সে গৃহবন্দি হয়ে পড়ে অথবা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। ধর্ষক বা ধর্ষকের পরিবার তুলনামূলক প্রভাবশালী হলে ভিকটিম বা ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি ও ভয় প্রদর্শনের মাধ্যমে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের তদন্তকে প্রভাবিত করা, সাক্ষীকে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা, ডাক্তারি রিপোর্টে পরিবর্তন আনা, আলামত নষ্ট করে ফেলার মতো ঘটনা ঘটে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ধর্ষণের মামলার নিষ্পত্তি হয় চার ভাগেরও কম। দীর্ঘ সময় ধরে চলা বিচার প্রক্রিয়ায় অধিকাংশ আসামিই খালাস পেয়ে যায়। জঘন্য এ অপরাধের বিচারে দীর্ঘসূত্রতার পেছনে মূলত আইনের দুর্বলতা ও অস্পষ্টতাই দায়ী। এ কারণে অনেক সময়ই সাক্ষীদের খুঁজে পাওয়া যায় না। ধর্ষণ যতটা না নারীর প্রতি সহিংসতা, যতটা না নারীর শরীরের প্রতি সহিংসতা, যতটা না নারীর প্রতি কৃত অপরাধ, তার চেয়ে বেশি নারীর সতীত্বের কাঠামোর মধ্যে দেখা হয়। ধর্ষণের শিকার কোনো নারী আদালতে বিচারের সময় অভিযুক্তের কৌসুলি তার চরিত্র নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তিমূলক ও আপত্তিকর প্রশ্ন করেন, যা ভিকটিমকে আদালতে মানসিকভাবে আরও বিপর্যস্ত করে তুলে। থানায় মামলা নেওয়ার সময় বা আসামিপক্ষের আইনজীবী ভিকটিমের নৈতিকতা, অতীত জীবন, ব্যক্তিগত বিষয়, যৌনতা ইত্যাদি নিয়ে এমন প্রশ্ন করেন তখন ওই নারী আবারও ধর্ষণের বীভৎস অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধান আলামত সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষা হলে ধর্ষণের শারীরিক প্রমাণ পাওয়া সহজ হয়। দেরি হলে প্রমাণ বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে বেশির ভাগ ভিকটিমকে ৭২ ঘণ্টা পর, এমনকি কখনো ১০ থেকে ১২ দিন পর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ফলে এখানেই ধর্ষকের ছাড়া পাওয়ার পথ তৈরি হয়ে যায়। ব্লাস্টের তথ্য মতে, ৭৫ শতাংশ ধর্ষণের সার্ভাইভার নারীকে স্থানীয় পুলিশ মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে অপেক্ষা করতে বাধ্য করে। এফআইআর করতে অস্বীকৃতি জানায়, নানা রকম নথিপত্রগত বা প্রশাসনিক ধমকি প্রয়োগের মাধ্যমে মেডিক্যাল পরীক্ষাকে বিলম্বিত করে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীরা নানাভাবে ধর্ষণের ঘটনাটি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আর এর মধ্য দিয়ে সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে যায়।
বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, এর ৯ ধারায় ধর্ষণ এবং ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু ঘটানো ইত্যাদির সাজা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। অত্র ধারায় একজন অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ডর বিধান রাখা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালে আইনে আছে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে কারণ দেখিয়ে বাড়তি সময় নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, মামলা শেষ হতে ১০-১২ বছর লেগে যায়। বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ হয়ে ভিকটিম কিংবা তার পরিবার মামলা চালাতে অপারগ হয় কিংবা হতাশ হয়ে লড়াই থেকে সরে পড়ে। সৃষ্টি হয় বিচারহীনতার সংস্কৃতি। সংশ্লিষ্ট আইনগুলোর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা থাকলেও সেখানে ধর্ষণের শিকার যে কোনো লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জাতিসত্তা বা প্রতিবন্ধিতার বিচারের বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। ভুক্তভোগীর জন্য ধর্ষকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পর্যাপ্ত ব্যাখ্যাও নেই। ধর্ষণবিরোধী আমাদের প্রচলিত আইন পরোক্ষভাবে ধর্ষকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের আইনে ধর্ষিতাকেই আদালতে প্রমাণ করতে হয় যে, সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভিকটিম বারবার ধর্ষণের বিবরণ ও প্রমাণ উপস্থাপন করতে গিয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়, দ্বিতীয়বার ধর্ষিত হয়। ধর্ষণের শিকার একজন নারীকে কেন প্রমাণ করতে হবে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন? বরং এটা হওয়া উচিত যে ধর্ষক তাকে প্রমাণ করতে হবে যে সে ধর্ষণ করেনি।
পৃথিবীর অনেক দেশে ধর্ষণের কঠোর আইন আছে। সৌদি আরবে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে রায় ঘোষণার পর দ্রুত জনসমক্ষে শিরচ্ছেদ করে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। ইরানে সাধারণত ধর্ষককে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। আফগানিস্তানে ধর্ষণ করে ধরা পড়লে চার দিনের মধ্যে ধর্ষকের মাথায় সোজা গুলি করে মারা হয়। চীনে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে ধর্ষকের যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়। উত্তর কোরিয়া ধর্ষণের বিচার বা শাস্তির জন্য বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ করে না। সেখানে ধর্ষককে ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের সাজা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড। এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষমা নেই, ধর্ষণ করলেই অপরাধ প্রমাণের সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদন্ড পেতে হবে। মিসরে ধর্ষককে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়, যেন অন্যরা সেটি দেখে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। বাংলাদেশের আইন ও বিচারে ধর্ষণ আর দশটা অপরাধের মতোই বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সঙ্গে মৃত্যু না হলে মৃত্যুদন্ড নেই। শুধু যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড। বাংলাদেশের বিদ্যমান এই আইনের সংশোধনের পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি। তবে শুধু আইন করে ধর্ষণ কমানো যাবে না। ধর্ষণ কমাতে সবচেয়ে বেশি জরুরি ভিকটিমদের এগিয়ে আসা। তাদেরকে বুঝাতে হবে যে, অপরাধ তারা করেননি, অপরাধ করেছে ধর্ষক এবং অপরাধীকে শাস্তি দিতে হলে তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সমাজে সাধারণত আগে দেখা যেতো যে, ধর্ষিতাকে একঘরে করে রাখা হতো বা সমাজে তাকে বাঁকা চোখে দেখা হতো। সেইসাথে তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দেয়া হতো। তবে পরিস্থিতি পুরোটা না হলেও এখন অনেকটাই পাল্টেছে। ভিকটিমরা এগিয়ে আসছে। আইনের সহায়তা নিচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বাংলাদেশে একটি ন্যাশনাল হেল্পলাইন আছে। ১০৯ ডায়াল করে যে কেউ এ ব্যাপারে সাহায্য চাইতে পারেন। অপরাধ ঘটার পর ভিকটিম বা অন্য কেউ যদি ১০৯-এ ডায়াল করে, তবে আলামত নষ্ট হয়ে যাবার পূর্বেই পুলিশ তা সংগ্রহ করতে পারে। বর্তমানে জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯ ডায়াল করেও সাহায্য নেয়া যায়।
ধর্ষণ কখনই শুধু মেয়েদের ইস্যু নয়, এটি একটি সামাজিক সমস্যা। একটি মেয়ের দায়িত্ব শুধু তার পরিবারের নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্রের। এই সমস্যা দূর করতে সমাজের পুরুষদের সবচেয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে। ধর্ষণের মতো অপরাধের তীব্রতা রোধে আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে, ধর্ষণের বিচার ও বিচার প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিধান এবং ধর্ষণসংক্রান্ত হাই কোর্টের রায় ও আদেশগুলো একত্রকরণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আইনের প্রয়োজন। ধর্ষণের অভিযোগে যেসব মামলা হয় পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সেগুলোর দ্রুত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলেই ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য এ অপরাধ কমবে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষে রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবস্থান নেওয়া বন্ধ করতে হবে। কঠোর আইন প্রণয়ন ও তা প্রয়োগের পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, আইনগত এবং রাজনৈতিক পর্যায়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
লেখক: ব্যাংকার ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।