পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল তথা আকাশ পথে নতুন চুক্তি হতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের নাগরিকরা সরাসরি দুই দেশে প্রবেশ করতে পারবে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে চুক্তির যে প্রস্তাবনা এসেছে সেখানে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতই বেশি লাভবান হবে।
বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশন সূত্র জানায়, চুক্তির জন্য ভারত যে প্রস্তাবনা দিয়েছে সেটিই যে বাস্তবায়িত হবে এমনটি নয়। কারণ বাংলাদেশ-ভারত এয়ার বাবল চুক্তির বিষয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন পক্ষ থেকে গত মাসে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির শর্তে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবেন তাদের প্রত্যেককে আবার নতুন করে ভারতীয় ভিসা নিতে হবে। আগের ভারতীয় ভিসার মেয়াদ থাকলেও সেটা আর কার্যকর হবে না। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন বলছে, যারা নতুন ভিসা নেবে সেটা কিসের ভিত্তিতে হবে, আর কি অগ্রাধিকার পাবে সেটা আলোচনা করতে হবে। এয়ার বাবলের অধীনে ভিসা ক্যাটাগরিতে স্বাস্থ্য ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের নাগরিকরা যেতে পারবে। তবে এখানে রোগীর সাথে একজন করে যেতে পারবে সহযোগী হিসেবে।
সূত্র জানায়, অধিকাংশ সময় দেখা যায়, বাংলাদেশের যেসব নাগরিক ভারতে চিকিৎসার জন্য যান তাদের সঙ্গে দুই থেকে তিনজন যেয়ে থাকেন। ভারতে নানা সমস্যার কারণে বাংলাদেশের নাগরিকদের একজন সহযোগী দিয়ে হয় না। এটি না হলে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা যেতে পারবে না। এটি নিয়েও আলোচনা চলছে।
সিভিল এভিয়েশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভারতে যে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি সেই বিবেচনায় এখন এটা কতটা যুক্তিসঙ্গত সেটা নিয়েও কথা রয়েছে। এটি আমাদের বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে দুই দেশের যে প্রটোকল রয়েছে সেটা দুই দেশ মানবে কিনা? তাই এয়ার বাবলে যাত্রীরা আসা যাওয়া করলেও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে। এগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলেচনা করে পরিষ্কার করতে হবে।
এ ছাড়া কয়টি ফ্লাইট চলবে এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। এদিকে, প্রস্তাবনাতে বাংলাদেশ বলেছে, বাংলাদেশ থেকে সপ্তাহে ৫ হাজার যাত্রী ভারতে যাবে। কিন্তু ভারত বলেছে তারা সপ্তাহে ১৭ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে ১৭ হাজার যাত্রী এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের এ মুহূর্তে বিমানবন্দরগুলোর যে অবস্থা সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এত যাত্রী ভারতে পরিবহনের সুযোগ দেওয়ার অবস্থায় নেই বাংলাদেশের। তবে ভারতের যে চাহিদা সেটা ১৭ হাজারের জায়গায় হয়তো ৫ বা ৭ হাজার হতে পারে। যার অনুমতি বাংলাদেশ দেবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা পদ্ধতি ভারত যদি সহজ না করে তবে এ চুক্তিতে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত বেশি লাভবান হবে। বাংলাদেশ বিমান, ইউএস বাংলা এবং নভোএয়ারকে যাত্রী পরিবহনে অনুমতির বিপরীতে ভারতের ৬-৭টি এয়ারলাইনসে যাত্রী পরিবহনে ইচ্ছা পোষণ করেছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ( বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এয়ার বাবল চুক্তি ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে করেছে। চুক্তি হতে হয় সমান সমান। সেখানে দুই দেশের স্বার্থ সমান থাকে। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা দিয়ে গত মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে। এটা এখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে। তবে ভারতের সিভিল এভিয়েশন বলেছে বাংলাদেশ যে যাত্রী চাইবে সেটা তারা অনুমতি দেবে। কিন্তু ভারত যা চেয়েছে সেটা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গত মাসে ঢাকা সফরকালে এয়ার বাবল চুক্তির প্রস্তাব দেন। ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাসও গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া আকাশপথে যোগাযোগ পুনরায় চালুর প্রস্তাব দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।