Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না মানববন্ধনে -মির্জা ফখরুল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

 বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ অবৈধ সরকারকে আর সময় দেয়া যায় না, যাবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকারকে সরাতে হবে। এরা জনগণের বিরুদ্ধে সরকার।
সিলেটের এমসি কলেজ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব তিনি পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই ঘটনাগুলোতে। এর চেয়ে লজ্জা কী হতে পারে একটা জাতির জন্য। যে জাতি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছে, যে জাতির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অতীতে করেছিল, যে জাতি উন্নয়নের জন্য লড়াই করছে সেই জাতিকে এখন ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর একটা অবস্থায় চিত্রিত হতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সমাজের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে, আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার, আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দলমত-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে সরাসরি বলতে হবেÑ আর কোনো সময় দেওয়া যাবে না। আর কোনো সময় দিলেই এখন এর পরিণতি ভালো হবে না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার জন্য, আমরা এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আসুন আমরা সবাই সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হই।
মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় একটা খবর এসছে যে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যারা দিচ্ছে বা যারা স্কুলে পড়ছে, তাদের উদ্দেশে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে একটা সার্কুলার দেয়া হয়েছে। এই সার্কুলারের মধ্যে লিখেছে যে, তারা কেউ এমন কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না, যেটা সরকারের বিরুদ্ধে যাবে, সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করবে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, আজকে একেবারে সেই কিশোর অবস্থা থেকে এ দেশে ছাত্রদের, কিশোরদের, তরুণদের কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। আজকে বিস্মিত হতে হয় যে, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে সার্কুলার জারি করে তাদের মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা, সেই স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এটা শুধু এখানে নয়, সারাদেশে সাংবাদিকরা, রাজনীতিবিদরা, এমনকি যারা আইন পেশায় আছেন তারাও তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ পড়েছে যারা সারা জীবন একটা মুক্ত অবস্থায় বাস করতে চেয়েছে, যারা মুক্ত অবস্থায় বাস করার জন্য সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি আমরা। এমন বাংলাদেশ তো আমরা দেখতে চাইনি। আমরা তো দেখতে চেয়েছিলাম একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যেদেশে যে রাষ্ট্রের মানুষের স্বাধীনতা থাকবে, বহুমত থাকবে। বহুমতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক সৌরভ ছড়িয়ে দেবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই জন্যই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একদলীয় শাসন বাতিল করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম বেগম খালেদা জিয়া তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করে আবার দেশে গণতন্ত্র চালু করলেন। আর এখন গত একযুগ ধরে এদেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করেছে। ন্যূনতম মানুষের বেঁচে থাকার যে অধিকারগুলো একজন নারী, একজন শিশুর যে অধিকার সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের নেওয়াজ হালিমা আরলি, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, অপর্না রায়সহ মহানগরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানববন্ধন

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ