Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিলবোর্ড-ব্যানার, পোষ্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে মহল্লা

সিংড়া পৌর নির্বাচন-২০২০

সিংড়া(নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২০, ৩:০১ পিএম

নির্বাচনী তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে সিংড়া পৌর নির্বাচন। তার আগেই আ’লীগ-বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা বিলবোর্ড-ব্যানার এবং পোষ্টার- ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে দিয়েছে পৌর এলাকার প্রায় সব মহল্লা। ইতোমধ্যে বর্তমান মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসকে পুনরায় মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা আ’লীগ। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তা নাকচ করে দিয়েছেন। দলীয় মনোনয়নে পেতে স্থানীয় ও কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন মেয়র প্রার্থীরা।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ও হাতিয়ানন্দহ ইউপির কিছু অংশ নিয়ে ১৯৯৯সালে সিংড়াকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষনা করা হয়। একটানা ১৭বছর দায়িত্ব পালন করেছেন বিএনপির মরহুম অধ্যাপক শামিম আল রাজি। ২০১৫সালের নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন পৌর আ’লীগের সাধারণ স¤পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস। আ’লীগের অন্য সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন, চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সাবেক স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ও গোলাম মহিউদ্দিন টিপু, সাবেক প্যানেল মেয়র আদনান মাহমুদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান, বিএম (কারিগরি) স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আবুবক্কর সিদ্দিক রকি, পৌর আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রনজু মাষ্টার এবং গোলাম কবির নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা হলেন, পৌর বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন সাখা, মহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ-আল কাফি, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান লিটন. মীর শফিকুল ইসলাম জুইস। গত পৌর নির্বাচনে দলীয় সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করেছিলেন বিএনপির এম এ মালেক রানা। তিনি এবারো নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। ২০১৫সালের ৩০ ডিসেম্বর এই পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে মোট ভোটার ৩৬হাজার ৫জন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর আ’লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকের বিরোধ বর্তমানে তুঙ্গে। আগামী পৌর নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ওই বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুই নেতা সমস্বয় করে যোগ্য প্রার্থী মনোনীত করতে না পারলে আ’লীগের ভরাডুবি হতে পারে। পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসের দাবী, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শিশু পার্ক ছাড়া সব কাজ প্রায় শেষ করেছি। বরাদ্দের অভাবে লেকের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিএনপি মেয়র প্রার্থী আবদুল্লাহ-আল কাফির দাবী, পৌরবাসীর আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস। চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মহিউদ্দিন টিপু বলেন, দল আমাকে নির্বাচনের সুযোগ দিলে অবশ্যই নির্বাচন করব। এর আগে ২০১০সালের পৌর নির্বাচনে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী” আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। অদৃশ্য কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেলে বিএনপি থেকে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন মরহুম শামিম আল রাজি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সিংড়া পৌর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করবেন “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” তিনি যাকে মনোনীত করবেন তাকেই আমরা মেনে নিব। তবে নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করেছেন বা করছেন তাদের সাথে আমাদের আপোষ নাই। আর উপজেলা আ’লীগ একক ভাবে প্রার্থী মনোনীত করতে পারেন না। তার কারণ প্রার্থী মনোনীত করবেন কেন্দ্রিয় আ’লীগ।

এবিষয়ে কথা বলতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ব্যক্তিগত পিএস এর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ বলেন,আগামী পৌর নির্বাচনে কেন্দ্রিয় নির্দেশনা মেনেই প্রার্থী মনোনীত করা হবে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড.আলহাজ্ব মজিবুর রহমান মন্টু বলেন.স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্দেশনা রয়েছে। তবে সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করেই যোগ্য প্রার্থী মনোনীত করব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৌর নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ