পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের ৮৮ দশমিক ৫০ শতাংশ সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩১টি স্প্যান স্থাপন শেষ হয়েছে। বাকি ১০টি জুলাইয়ের মধ্যে স্থাপনের টার্গেট ছিল। কিন্তু পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে এই স্প্যান স্থাপনের কাজ একটু বিলম্বিত হচ্ছে। অন্যান্য কাজ থেমে নেই। স্রোতটা একটু শান্ত হলেই বাকি স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে।
গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সেখানে উপস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আর একটি স্বপ্নের প্রকল্প, তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট ঢাকা মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬। এই প্রকল্পটির কাজ করোনাকালে নানান বাধাবিপত্তি সত্তে¡ও ৫০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়া মেট্রোলাইন-১ এবং মেট্রোলাইন-৫ এর নির্মাণ কাজের প্রস্তুতিও এগিয়ে চলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোলাইন নির্মাণ করবো। সারা ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার পথে এটা হবে সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনা সরকারের সাহস এবং সক্ষমতার প্রতীক। তেমনি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক ইঞ্জিনিয়ারদের সফলতার প্রতীক। হাওরের মাঝখানে এরকম সড়ক নির্মাণ এটি হাওরের বিস্ময় বলে পরিচিত হচ্ছে।
এছাড়া সরকারি বাসভবনে আরেকটি ব্রিফিংএ ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের পদত্যাগ নয়, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত। যেই কোন অপকর্ম রাজনৈতিক রং দিয়ে আড়াল করতে চায় না সরকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন শুধু মুখে আর পত্রিকার পাতায় ও ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
তিনি বলেন বিএনপি দেশে বিদেশে যেখানেই সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করুক না কেন, সে সম্পর্কে সরকার সজাগ। সা¤প্রতিক নারীর প্রতি অবমাননা এবং সহিংসতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন নোয়াখালীর ঘটনাসহ প্রতিটি ঘটনায় অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভয়ারণ্য তৈরি করেছিলো তা কি তারা ভুলে গেছে? জাতি তা জানতে চায়?
বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, নারী নির্যাতন বিশ্ববিবেককে হতবাক করে দিয়েছিলো।
ফাহিমা, মাহিমা, পূর্ণিমাসহ হাজারো নারী ধর্ষণের স্বীকার হয়েছিলো, কেউই বিচার পায়নি। বিচারের বাণী তখন নিভৃতে কেঁদেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সংখ্যালঘু নির্যাতন ’৭১-এর পাক হানাদারদের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।