পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভয়াবহ দুর্নীতি, সৎ নেতৃত্বের সঙ্কটসহ নানা বাস্তবতায় আজ নিভুনিভু ডাক বিভাগ। আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির সঙ্গে লড়াই করে ক্লান্ত এ প্রতিষ্ঠান এখন ক্ষয়িষ্ণু। এ প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার দেশে উদযাপিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’। ১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যান্ডের বার্নে ২২টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে গঠিত হয় ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ)।
ইউনিয়ন গঠন করার মাহেন্দ্রক্ষণটি স্মরণীয় রাখতে ১৯৬৯ সালে টোকিওতে ইউপিইউ’র ১৬তম সভায় ৯ অক্টোবর ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ডাক সেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই দিবসটির মূল লক্ষ্য। বিশ্ব ডাক দিবসের কোনো প্রতিপাদ্য নেই এবার। তবে উদ্ভাবন, একাগ্রতা এবং অন্তর্ভুক্তি এ তিনটি স্তরের ওপর এ বছর ইউপিইউ পোস্টার ডিজাইন করা হয়েছে।
ইউপিইউ-এর মহাপরিচালক এ বছরের বিশ্ব ডাক দিবসের বাণীতে ডাক সেবাকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে খাপ খাইয়ে নেয়ার সক্ষমতা অর্জনের উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সদস্য পদ অর্জন করে। এরপর থেকে দেশে প্রতিবছর ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক ডাক ও টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক যাত্রা সূচিত হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ডাকসেবার অভিযাত্রা সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া হয়ে ব্যাবিলনীয় সভ্যতার পথ হেঁটে অগ্নিশিখা সংঙ্কেত, শিকারি কবুতর পাঠিয়ে কিংবা ঘোড়ার পিঠ-রানারের ঝুলি, স্যামুয়েল মোর্সের টরে টক্কার যুগ পেরিয়ে কম্পিউটার বাটনে সংবাদ আদান-প্রদানের যুগে আজ ডাক বিভাগ প্রবেশ করেছে। আগে যেমন ডাক সার্ভিসের প্রয়োজন ছিল, আজও আছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে একটি ‘গেøাবাল হোম’-এ পরিণত করেছে। প্রযুক্তি নির্ভরতার সাথে ডাক সেবাকে লাগসই প্রযুক্তিতে রূপান্তর করা এখন সময়ের দাবি। যদিও সময়ের এ অনিবার্যতাকে পূঁজি করে ডাক বিভাগে আছর করেছে ব্যক্তিস্বার্থ। জন চাহিদাকে পুঁজি করে বাসা বেধেছে দুর্নীতি। আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ডাক বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিদের হঠকারি সিদ্ধান্তে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ধ্বংসের পথে। এবারের ‘বিশ্ব ডাক দিবস’-এ তাই প্রতিষ্ঠানটির সর্বত্র দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত হচ্ছে। করোনা-বাস্তবতায় এবারের ডাক দিবস উদযাপিত অনাড়ম্বরে। কিছু ঘরোয়া আয়োজন ছাড়া তেমন আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।