Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা ভুলে গেলাম কেন?

মোঃ শিবলী নোমানী ইবনে সাদেক খান | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৫ এএম

পূর্ব প্রকাশিতের পর
আর এজন্যই মহানবী যখন প্রকাশ্যে মহান আল্লাহ্পাকের ওয়াহ্দানিয়াতের দাওয়াত পৌছে দেওয়ার জন্য সাফা পর্বতের চূড়ায় উঠে মক্কাবাসিকে বলেছিলেন ‘কুলু লা ইলা হা ইল্লাল্লাহু’ অর্থাৎ বলো, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ বা মা’বুদ নেই। আল্লাহ্র হাবিব কিন্তু সেদিন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ-এর দাওয়াত দেননি। প্রশ্ন আসতে পারে কেন? কারণ লা ইলাহা ইল্লাল্লার দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্ব মহানবীর আর মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্র দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্পাক নিজে গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজিম। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনুল কারীমে অসংখ্য দলিল রয়েছে। আমি একটি দলিলের কথা উল্লেখ করছি, যেখানে মহান রাব্বুল আলামিন শুধু মহানবীর পক্ষেই দাওয়াত দেননি বরং তাঁর সাহাবীদের ভূয়ষি প্রশংসা করে নজির বিহীন দলিল উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ্পাকের ঘোষণা, “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ওয়াল লাজিনা মায়াহু আশিদদায়ু আলাল কুফফারি রুহামায়ু বাইনাহুম তারাহুম রুক্কায়াং সুজ্জাদাই ইয়াবতাগুনা ফাদলাম মিনাল লাহি ওয়া রিদওয়ানা সি মাহুম ফি অুজুহিহিমি মিন আসারিস্ সুজুদ যালিকা মাসালুহুম ফিত্তাওরাত ওয়া মাসালুহুম ফিল ইঞ্জিল।” অর্থাৎ “মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম আল্লাহ্পাকের রাসুল এবং তাঁর সাহাবীরা কাফেরদের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠিন কিন্তু নিজেদের মধ্যে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল, হে শ্রবণকারী তুমি তাঁদেরকে দেখতে পাবে কখনও রুকু করছে কখনও সেজদাহ্ করছে আর মহান আল্লাহ্পাকের সন্তুষ্টি কামনায় প্রাণান্তর চেষ্টা করে চলেছে, তাঁদের মুখমন্ডলে আমাকে সেজদা করার চিহ্ন স্পষ্ট ফুঁটে আছে, আর তাওয়াত ও ইঞ্জিলেও তাঁদের গুণাবলীর বর্ণনা স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে।”

তাহলে আমরা জানতে পারলাম মহানবী নবুয়তের তৃতীয় বছরে প্রকাশ্যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এর দাওয়াত দেওয়া শুরু করেন আর মহান আল্লাহ্পাক মহানবী দুনিয়াতে আসার হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই তাঁর হাবিবের রাসুল হওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। এ পর্যায়ে আরো একটি বিষয়ে আমি সমাধানে পৌছাতে সক্ষম হলাম যে বিষয়টি দীর্ঘ দিন আমার সমাধানের বাইরে ছিলো, আর তা হচ্ছে জান্নাতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার অথবা ২ লক্ষ ২৪ হাজার অথবা ৩ লক্ষ ২৪ হাজার নবী রাসুলগণের মধ্য থেকে একটি মাত্র সংখ্যা বিয়োগ করলে যেই সংখ্যাটি বের হয়। সেই সংখ্যার সকল নবী রাসুলগণের উম্মতের মোট সংখ্যা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম এর উম্মতের মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও কম হবে। সুবহানাল্লাহ্। প্রশ্ন হলো কেন? এবার এক কথায় উত্তর দেব, লক্ষ লক্ষ নবীগণের নবুওতের দাওয়াত তাঁরা নিজেরা দিয়েছেন আর মহানবীর নবুয়তের দাওয়াত স্বয়ং আল্লাহপাক দিয়েছেন তাই জান্নাতিদের মধ্যে মহানবীর অনুসারীদের সংখ্যা এত ব্যাপক। আজ আর দীর্ঘ করব না, শুধু একটা পরিষ্কার মেসেজ দিতে চাই, মহানবী মানে মহানবী, মহানবীর সমপর্যায়ে কেউ নেই। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর প্রথম জন্ম নুরের দ্বারা, তাঁর দ্বিতীয় জন্ম মানুষের ঔরশে। তিনি যেমন নূরের সৃষ্টি তেমনি আবার মাটি, পানি, আগুন ও বাতাসের সৃষ্টি। অত:পর বলবো তিঁনি যদি নূরের সৃষ্টি না হতেন? তাহলে কখনও তিঁনি স্বশরীরে দুনিয়ার জমিন থেকে সপ্তম আসমান পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা অতিক্রম করে, ৭০ হাজার নূরের পর্দা ভেদ করে তীর-ধনুকের দূরত্বে অথবা তার চেয়েও নিকটে মহান আল্লাহ্পাকের সামনে উপস্থিত হতে পারতেন না।

অবশেষে মহাপবিত্র কুরআনুল কারীম সম্পর্কে বলবো কুরআনুল কারীম সরাসরি মহান আল্লাহ্পাকের নূরের অংশ। আল্লাহ্পাক তাঁর নিজের নূর থেকে কুরআনুল কারীমকে বিচ্ছিন্ন করে সীদরাতুল মুনতাহাকে অতিক্রম করে লওহে মাহ্ফুজে প্রথম নাজিল করেন পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ শবে বরাতের রাতে। ফেরেশতারা নূরের তৈরি কিন্তু মহান আল্লাহ্পাকের নূরের সাথে তাঁদের নূরের কোন সম্পর্ক নেই। তাই তাঁরা কোন অবস্থাতেই সীদরাতুল মুনতাহা অতিক্রম করতে সক্ষম নন। কেননা সীদরাতুল মুনতাহার পরবর্তী জগত মহান আল্লাহ্পাকের নিজস্ব জগত। সেখানে শুধুই মহান আল্লাহ্পাকের জাতি নূরের অবস্থান। এই অবস্থান থেকে মাত্র দুটি সত্ত¡া সীদরাতুল মুনতাহা অতিক্রম করে, আমাদের মাঝে এসেছেন। মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে অনন্ত কোটি শোকরিয়া এজন্য যে, তিনি আমাদের নিজ করুণায় তাঁর হাবীবের উম্মতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। পবিত্র কুরআনুল কারীমকে আল্লাহ্পাক দুইবারে নাজিল করেছেন প্রথমবার পবিত্র শাবান মাসে “লওহে মাহ্ফুজে” এখানে বলে রাখা প্রয়োজন হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এর সাথে ‘লওহে মাহফুজে’ কুরআন নাজিলের বিষয়ে কোন সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্পাক তাঁর নিজস্ব হেকমতে ‘লওহে মাহফুজে’ কুরআনকে হেফাজতে রেখেছেন। অনুরুপভাবে মহানবীকে আল্লাহ্পাক তাঁর নিজস্ব নূর থেকে সৃষ্টি করে, তাঁর নিজস্ব নূরের জগতে কোটি কোটি বছর রেখে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের দোয়ায় বদৌলতে মহান আল্লাহ্পাক মহানবীকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। আর এ জন্যই মহানবী দুরুদে ইব্রাহীমির মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে জাগ্রত রেখেছেন। আমার পক্ষ থেকে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের প্রতি রইল হৃদয় উজাড় করে দেওয়া শ্রদ্ধা, সম্মান ও অনন্ত কোটি সালাম। বলছিলাম, কুরআনুল কারীমের প্রথম নাজিলের বিষয়ে। যেহেতু কুরআনুল কারীম সরাসরি মহান আল্লাহ্পাকের নূরের অংশ, তাই এই কুরআনুল কারীমকে যিঁনি গ্রহণ করবেন, তিঁনিও যুক্তিসংগতভাবে হবেন আল্লাহ্পাকের নূরের অংশ। মহানবীকে যদি মহান আল্লাহ্পাক শুধুমাত্র নূরের সুরতে দুনিয়াতে প্রেরণ করতেন, তাহলে গোটা দুনিয়া নূরের তাজাল্লিতে জ্বলেÑপুড়ে ছাই হয়ে যেত! সংগত কারণে মহান আল্লাহ্পাক মহা হেকমত প্রদর্শন করলেন।

তিনি হযরত আব্দুল্লাহ্র ঐরশে মা আমেনার গৃহে মানব আকৃতিতে মহানবীকে দুনিয়ায় প্রেরণ করলেন আর এরই সাথে মহান আল্লাহ্পাক তাঁর সৃষ্টি জগতের সকল বিষয়ের পরিসমাপ্তি টানলেন। পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে মহানবী দুনিয়াতে পা রাখলেন, ঠিক তার চল্লিশ বছর পর, পবিত্র রমজান মাসে দুনিয়াতে প্রথম কুরআনুল কারীম নাজিল হয়। পাঠকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উপর তাওরাত এবং হযরত ঈসা আলাইহিস সালামÑ এর উপর ইঞ্জিল নাজিল হয় একবারে কিন্তু আমাদের মহানবীর উপর কুরআন দীর্ঘ তেইশ বছর ব্যাপী নাজিল হলো কেন? এর দুটি উত্তর (১) নূরের জগতে নূরে মুহাম্মাদীর উপর নুরুল কুরআন একবারেই নাজিল করা হয়েছে। (২) যেহেতু মহান আল্লাহ্পাকের নিকট মহানবীর মোকাবেলায় কোন কিছুই অধিক মূল্যবান নয় সেহেতু মহানবীর সুবিদার্থে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়বার দুনিয়াতে নাজিল করা হয়। উপসংহারে আমরা বুঝতে পারলাম, মহান আল্লাহ্পাক, মহানবী এবং মহাগ্রন্থ আল-কুরআন একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এ পর্যায়ে যারা আমাকে কাফের ফতোয়া দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের সুবিদার্থে বলছি, মহান আল্লাহ্পাক হলেন ¯্রষ্টা, আর মহানবী হলেন আল্লাহ্পাকের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মানুষ যাতে ভুল করে মহানবীর শ্রেষ্ঠত্বের মাঝে কোন বিতর্ক তৈরি করতে না পারে, সেজন্য মহান আল্লাহ্পাক আয়াতুল কুরসির মাধ্যমে তাঁর পরিচয় দিয়ে ক্ষান্ত হননি, বরং তিনি মহানবীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আপনি বলুন, আল্লাহ্ এক, আল্লাহ্ স্বয়ংসম্পূর্ণ, তিনি কারো থেকে জন্ম নেননি এবং কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। অর্থাৎ মহানবী মহান আল্লাহ্পাকের নূরের তৈরি হলেও তিনি মূলত আল্লাহ্পাকের সবচাইতে বিস্ময়কর সৃষ্টি। দুনিয়াতে মহানবীর পরিচয় মুহাম্মদ নামে, আসমানে মহানবীর পরিচয় আহ্মদ নামে আর সীদরাতুল মুনতাহার পরে মহানবীর পরিচয় হচ্ছে ‘আবদ’ তাই তো মহান আল্লাহ্পাক ঘোষণা করেছেন, সুবহানাল্লাজি আসরা বি আবদিহি..... ইলা আখের।

প্রশ্ন আসতে পারে মহানবীকে মহান আল্লাহ্পাক কেন আবদ বলে স¤েœাধন করলেন? এর উত্তর হচ্ছে নবী-রাসুলগণের সংখ্যা লক্ষাধিক কিন্তু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাম ছাড়া কোন নবী-রাসুলকে আল্লাহ্পাক “আবদ” নামে অভিহিত করেন নি। কারণ “আবদ” শব্দটা মহান আল্লাহ্পাকের সবচাইতে প্রিয় শব্দ আর সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিত্বকে সবচাইতে প্রিয় নামে স¤েœধান করার ইচ্ছাতো সবার মধ্যেই থাকে। মহানবীকে মহান আল্লাহ্পাক যাঁর মাধ্যমে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন, তাঁর নাম আব্দুল্লাহ্। সুবহানাল্লাহ্। কেননা “আবদ” শব্দ থেকেই আব্দুল্লাহ্ শব্দের উৎপত্তি। আমার জানা মতে মহানবীই পৃথিবীতে একমাত্র নবী, যাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ্। পবিত্র কুরআনুল কারীম হচ্ছে মহানবীর শ্রেষ্ঠ মোজেজা! আর মহানবী নিজে আল্লাহ্পাকের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন! কুরআনুল কারীমকে জানলে যেমন মহানবীকে জানা যায়, তেমনি মহানবীকে জানলে মহান আল্লাহ্পাককে জানা যায়। সম্মানিত পাঠকদের বোঝার সুবিদার্থে বলছি, মহানবীর ঘোষণা, শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না, প্রশ্ন হলো কেন? এক কথায় উত্তর, মহানবীর নির্দিষ্ট কোনো রূপ নেই! যদি থাকতো তাহলে জমিনে তাঁর ছায়া পড়ত। বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য বলছি, মহান আল্লাহ্পাক সুরা ওয়াকিয়ায় ঘোষণা করেছেন, মানুষের মৃত্যু লগ্নে তিঁনি উপস্থিত থাকেন। কিন্তু মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তি তাঁকে দেখতে পান কিনা এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু বলেন নি। মহান আল্লাহ্পাক বলেছেন, তোমরা আমাকে দেখতে পাওনা অর্থাৎ মৃত্যুপথচারী ব্যক্তির নিকটে উপস্থিত লোকজন আল্লাহ্পাককে দেখতে পায় না।

এর সহজ ব্যাখ্যা হলো আল্লাহ্পাক সব সময় কোন না কোন রহস্যের দ্বারা নিজেকে আবৃত করে রাখেন! মহানবীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক মৃত ব্যক্তি মহানবীকে দেখার সুযোগ পাবে কিন্তু চেনার সুযোগ সবার হবে না। আমার প্রশ্ন হিরোসিমা-নাগাসাকিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পারমাণবিক বিস্ফোরণে যখন কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে লক্ষ-লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়, একজন মহানবী কি করে সবার সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন? প্রশ্নটা এজন্য করলাম শয়তানের ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বাস যতটা দৃঢ়, মহানবীর ক্ষেত্রে ততটাই দূর্বল।

আমরা মনে করি শয়তান যেহেতু একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে পুরো পৃথিবীর সাতশ কোটি মানুষকে ধোঁকা দিতে পারে সুতরাং শয়তান সুপার পাওয়ারের অধিকারী, মোটেও না। শুধু একবার লা হাওলা ওলা কুউওতা ইল্লা বিল্লাহ্ বলে দেখুন, অথবা একবার দুরুদ শরীফ পড়ে দেখুন, শয়তান হিরো থেকে জিরো হয়ে যাবে। বলছিলাম মহানবীর কথা, দুনিয়াতে মহানবী প্রতি মূহূর্তে শত কোটি মুসলিমের দুরুদ ও সালামের জবাব দিচ্ছেন, আবার এই সময়ের ভিতরেই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের সাথে স্বপ্নে দেখা দিচ্ছেন, ঠিক একই সময়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া প্রতিটি মানুষের সামনে হাজির হচ্ছেন! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবাহানাল্লাহিল আজিম। বিস্ময় ও রহস্যে ঘেরা মহামানবকে যদি আমি মৃত্যুর পরে চিনতে না পারি অর্থাৎ যদি জাহান্নামি হয়ে যাই, তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, জান্নাতে অবশ্যই আপনারা মহানবীর প্রতি দাবী পেশ করবেন, তাঁর মূল পরিচয়ের রহস্য উন্মোচনের জন্য। কেননা তাঁর রহস্য তিঁনি ছাড়া অন্য কেউ উদঘাটন করতে পারবে না। আর মহান আল্লাহ্পাক তো শুরু থেকেই আমাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। জান্নাতিরা একবারই আল্লাহ্পাকের সাক্ষাত লাভে ধন্য হবে আর সেখানে প্রশ্ন করার প্রশ্নই আসে না। কেননা আল্লাহ্পাকের সাক্ষাত লাভের সাথে সাথে জান্নাতিরা কোটি কোটি বছর তন্ময়ে বিভোর হয়ে থাকবে। সুতরাং “আলাসতু বি রাব্বিকুম” এই প্রশ্ন এবং এর জবাব উভয়টাই কেন ভূলে গেলাম তার উত্তর মহানবীকেই দিতে হবে। শুধু এই প্রশ্নই নয় অসংখ্য অমিমাংসিত প্রশ্নের জবাব যেমন আলিফ লাম মীম, হা-মীম, ত্বো-হা ইত্যাদি হরফের ব্যাখ্যা দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার যিঁনি রাখেন, তিঁনি আর কেউ নন, সমগ্র সৃষ্টি জগতের রহমত তথা রাহ্মাতুল্লিল আলামিন।
লেখক : গবেষক ইসলামী চিন্তাবিদ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আল কোরআন

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৭ মার্চ, ২০২১
৮ অক্টোবর, ২০২০
২০ মার্চ, ২০২০
১৩ মার্চ, ২০২০
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->