Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিক্ষোভকারীরা কিরগিজস্তানে সাবেক-প্রেসিডেন্টকে মুক্ত করল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১:১০ পিএম

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে চলমান বিক্ষোভে নতুন মাত্রা যোগ করছে কিরগিজস্তানে সাধারণ মানুষ। বিক্ষুব্ধ জনতা কিরগিজস্তানের জেলবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্টকে মঙ্গলবার মুক্ত করেছে। ভোট কেনা-বেচার অভিযোগে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছিল। এরই প্রেক্ষিতে বিরোধীরা রাস্তায় নামলে পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষ হয়।

বিরোধী দলের কর্মীরা রাশিয়ার সমর্থিত রাষ্ট্রপতি সরোনাবাই জিনবেকভের পদত্যাগ এবং রবিবারের নির্বাচনের পুনর্বিবেচনার দাবিতে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী বিশকেকের রাস্তায় নামে।

সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের সংসদ ও রাষ্ট্রপতির অফিস দখলে দিতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে জল কামান, স্ট্যান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ।

এরপর প্রায় ২ হাজার বিক্ষোভকারী পাশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি ভবনে প্রবেশ করে, যেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি আলমাজবেক আটামবায়েভকে বন্দী করা হয়েছিল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আটামবায়েভের সহযোগী আদিল তুরডুকুভ। তিনি জানান, “বল প্রয়োগ বা কোনো অস্ত্র ব্যবহার না করে” সাবেক প্রেসিডেন্টকে মুক্তি করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের কেউ থামানোর চেষ্টাও করেনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফুটেজে দেখা গেছে কারাগার থেকে বের হয়ে ৬৪ বছর বয়সী আলমাজবেক আটামবায়েভ সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বিদ্রোহী এক নেতাকে বেআইনিভাবে মুক্তি দেওয়ায় ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

আটামবায়েভ তার উত্তরসূরি সরোনাবাই জিনবেকভের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে শেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। তবে দুজনই রাশিয়ার বিশ্বস্ত সহযোগী।

গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করলেও আটামবায়েভের গ্রেপ্তার ঠেকাতে পারেননি।

রবিবার দেশটিতে নির্বাচনের পর সোমবার সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটির রাজধানী বিশকেকে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। আরও কয়েকটি বড় শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে।

কিরগিজস্তানের পার্লামেন্ট সুপ্রিম কাউন্সিল-এর আসনসংখ্যা ১২০টি। দেশটির আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আসন বণ্টন করা হয়। তবে পার্লামেন্টে কোনো আসন পেতে গেলে কোনো দলকে ন্যূনতম সাত শতাংশ ভোট পেতে হয়।

এবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৬টির মধ্যে কেবল চারটি দল পার্লামেন্টে আসন পাওয়ার ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পেরেছে। এর মধ্যে তিনটি দল আবার প্রেসিডেন্ট সরোনবাই জিনবেকভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। এদের মধ্যে দুটি দল ২৫ শতাংশ করে ভোট পেয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ভোট কেনাবেচা এবং হস্তক্ষেপের দাবি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ এবং মারাত্মক উদ্বেগের কারণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ