পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে সড়কে এক মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৭৩টি। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩০৪ জন। আহতের সংখ্যা ৪৯২। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭, শিশু ৩৮। এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে এ ঘটনাগুলো ঘটে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণে এ তথ্য উঠে আসে। এসব দুর্ঘটনার এক তৃতীয়াংশ ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৯৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১০৬ জন। যা মোট নিহতের ৩৪.৮৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৫.৫৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৮৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৮.২৮ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৪ জন। যা নিহতের সংখ্যায় ১৭.৭৬ শতাংশ। এই সময়ে ৯ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত, ১৪ জন আহত ও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ১১টি রেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এতে হলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় বাস যাত্রী ১৩, ট্রাক যাত্রী ১১, পিকআপ যাত্রী ৬, কাভার্ডভ্যান যাত্রী ২, মাইক্রোবাস যাত্রী ১২, প্রাইভেটকার যাত্রী ৫, অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ৬, ট্রলি যাত্রী ৮, সিএনজি যাত্রী ৭, ইজিবাইক-অটোরিকশা যাত্রী ২৬, নসিমন-ভটভটি যাত্রী ৯, লেগুনা যাত্রী ৪ এবং বাই-সাইকেল আরোহী ৩ জন নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন থেকে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে সরকারের যুগ্ম সচিব (পিআইবি’র পরিচালক) ১ জন, উপজেলা চেয়ারম্যান ১ জন, পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই/এসআই) ৪ জন, শিক্ষক ৮ জন, কারারক্ষী ১ জন, পল্লী চিকিৎসক ১ জন, আদালতের নৈশপ্রহরী ১ জন, প্রতিবন্ধি ৪ জন, ইলেক্ট্রিক ও মোটর মেকানিক ২ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১১ জন, পোশাক শ্রমিক ৫ জন, মিল শ্রমিক ১ জন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী ১ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ১৭ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ৩ জন এবং ঢাকা আর্ট কলেজের ১ জন ছাত্রীসহ ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আর গুরুতর আহত হয়েছেন একজন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা (লে.কর্নেল), পরমাণু শক্তি কমিশনের একজন টেকনিক্যাল অফিসার, একজন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলা নিউজের একজন সাংবাদিক এবং নৌ-বাহিনীর দুইজন সদস্য।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১০৮টি (৩৯.৫৬%) জাতীয় মহাসড়কে, ৬৯টি (২৫.২৭%) আঞ্চলিক সড়কে, ৫৪টি (১৯.৭৮%) গ্রামীণ সড়কে এবং ৪২টি (১৫.৩৮%) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাসমূহের ৭২টি (২৬.৩৭%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৬১টি (২২.৩৪%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮৫টি (৩১.১৩%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৪৬টি (১৬.৮৪%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৯টি (৩.২৯%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায়ী-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২০.০৯ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ৪.১৫ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স ৩.৪৬ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১৯.১৬ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২২.৮৬ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-লেগুনা) ১৫.৪৭ শতাংশ, নসিমন-পাখিভ্যান-অটোভ্যান-ভটভটি ৭.১৫ শতাংশ, রিকশা-ভ্যান, বাই-সাইকেল ৬.৬৯ শতাংশ এবং অন্যান্য (টমটম, পাওয়ারটিলার, হ্যান্ডট্রলি, তেলবাহী ট্যাংকার) ০.৯ শতাংশ।
দুর্ঘটনায় আক্রান্ত যানবাহনের সংখ্যা ৪৩৩টি (ট্রাক ৬৬, বাস ৮৩, কাভার্ডভ্যান ৯, পিকআপ ১২, লরি ৩, ট্রলি ১০, ট্রাক্টর ৫, মাইক্রোবাস ৭, প্রাইভেটকার ৬, এ্যাম্বুলেন্স ২, ডাক বিভাগের কাভার্ডভ্যান ১, নৌ-বাহিনীর বাস ১, হ্যান্ডট্রলি ১, মোটরসাইকেল ৯৯, নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-অটোভ্যান ৩১, ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-লেগুনা ৬৭, টমটম ১, পাওয়ারটিলার ১, তেলবাহী ট্যাংকার ১, বাই-সাইকেল ৩, রিকশা ও রিকশাভ্যান ২৬টি)। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৫.১২%, সকালে ২০.৫১%, দুপুরে ২৩.৪৪%, বিকেলে ২৫.২৭%, সন্ধ্যায় ৯.৮৯% এবং রাতে ১৫.৭৫%।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৭৮টি দুর্ঘটনায় নিহত ৮৩ জন। সবচেয়ে কম রাজশাহী বিভাগে। ২০ টি দুর্ঘটনায় নিহত ২২ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী ঘটেছে। ২৭টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত। সবচেয়ে কম সুনামগঞ্জে। একটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।