পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা বৃষ্টিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থৈ থৈ করছে। ফলে সড়কেই সৃষ্টি হয়েছে জলাশয়। পানিতে কোথাও আবার সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মহাসড়কে যাতায়াত করা যাত্রী ও জনসাধারণ।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানি জমে থাকার কারণে বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দে ভরে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ পানি যাতে না জমে সেজন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উভয় পাশে পানি নিস্কাশনের জন্য অপরিকল্পিত ড্রেন আসছে না কোনো কাজেই।
গতকাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ড্রেনগুলোর কোথাও অসমাপ্ত, ভেঙে যাওয়া, ময়লা আবর্জনায় ভরাট বা সø্যাব ভেঙে ড্রেনের ভিতরে পড়ে থাকার কারণে ড্রেনগুলো উপচে মহাসড়কে পানির স্রোত তৈরি হয়েছে। এই চিত্র মহাসড়কের চান্দিনা, নিমসার, ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা, নিশ্চিন্তপুর, আমতলী, আলেখারচরসহ বিভিন্ন স্থানের। অথচ চার লেনের মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি দ্রæততম সময়ে সরে যাওয়ার লক্ষ্যে মহাসড়কের চান্দিনা বাজার বাসস্ট্যান্ড, নিমসার, ময়নামতির সেনানিবাস অংশ, নিশ্চিন্তপুর, আমতলী, আলেখারচর এলাকায় সড়কের উভয় পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বক্স ড্রেন নির্মাণ করে।
অভিযোগ রয়েছে, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ, এছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখা, নিম্নমানের কাজের কারণে অল্প সময় ড্রেনগুলো ভেঙে পড়েছে। আবার অনেক স্থানে নির্মানের পর ড্রেনের সø্যাবগুলো ভেঙে ড্রেনের ভিতরে পড়ে থাকা, নিয়মিত ময়লা অবর্জনা পরিষ্কার না করায় এসব ড্রেনগুলো পানি নিস্কাশনে কোন উপকারেই আসছে না। আবার কোথাও কোথাও ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় সেগুলোই এখন পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাসড়কে যাতায়াত করা যাত্রী ও জনসাধারণের। ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ও পলিথিন জমে থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। রোড ডিভাইডার এলাকাগুলোতে পানি নিস্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানি সরতে পারছে না।
এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী শিল্প কারখানার গাড়ি চালক আবিদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকায় দ্রæত সময়ের মধ্যে পণ্য আনা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। গাড়ি চালাতে হচ্ছে ধীর গতিতে। ফলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম এই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সময় মত মালামাল ডেলিভারি দেয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে কারখানায় বড় ধরনের লোকসান দেখা দিবে।
যাত্রীবাহী গ্রিনলাইন পরিবনের চালক আলাউদ্দিন অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেইক্কা আইছি। রোডের অবস্থা আর কইলে সারে না। বহদ্দারহাট থেইক্কা মিরাইসরাই পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে উঁচুনিচু জায়গায় পানি আর গুড়া পাথরে রাস্তা পিছলা হইয়া রইছে। ব্রেক করলে গাড়ি এক জায়গায় থাকে না। ৮০-১০০ কিলোমিটারের গাড়ি অহন ৪০-৫০ চালান লাগে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ মহসড়কে পানি জমে বেহাল দশা কথা উল্লেখ করে বেসরকারি এক চাকরিজীবী আমির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে গাড়ি ধীরগতিতে চলার কারণে অনেক সময় অফিসে দেরিতে পৌঁছতে হয়। প্রায় সময়ই পানিতে ভিজে জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বৃষ্টিতে মহাসড়ক অনেকটাই বিপদজনক হয়ে আছে। যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ বলেন, মহাসড়কের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ভারি বৃষ্টি হলে সেই পানির সঙ্গে বিভিন্ন বর্জ্য ও অতিরিক্ত পানি ড্রেন দিয়ে বের হওয়ায় বাড়তি চাপ পরে। ফলে কিছু কিছু স্থানে মহাসড়কের ওপরে পানি উঠে যায়। এছাড়া মহাসড়কের আশপাশে আগে যে খালগুলো ছিল সেগুলো ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব খালগুলো দখল ও ভরাটমুক্ত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আবার শিল্প কারখানাকে নিজ খরচে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কিছু নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। সেগুলো না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের অনেক জায়গায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো মেরামতের জন্য সবকিছুই প্রস্তুত কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। শিগগিরই এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।