Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রণোদনা নেই প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০২ এএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে গত অর্থবছর থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী দেশে ১০০ টাকা পাঠালে তার স্বজনরা ১০২ টাকা তুলতে পারছেন। কিন্তু রেমিট্যান্সের টাকা দিয়ে প্রবাসী বন্ড কিনলে এই প্রণোদনা পাওয়া যাবে না।
গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক সার্কুলারের মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের পাশাপাশি নিজ নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা/সহায়তা প্রযোজ্য নয়। বিদেশে অবস্থান করেন, এমন যেকোনো বাংলাদেশি চাইলেই প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ করে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা নিতে পারেন। এর সবই জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চালু করা বন্ড।

১৯৮৮ সালে চালু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ২০০২ সালে চালু হওয়া তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ করে এ সুবিধা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব বন্ড বিক্রি বন্ধ ছিল।
রেমিট্যান্সের টাকা দিয়ে এই তিন ধরনের বন্ড কিনলে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে না-এ বিষয়ে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছিল। গত ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে মতামত জানতে অর্থমন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়েছিল। সেই চিঠির জবাবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রণালয় একটি চিঠির মাধ্যমে এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের পাশাপাশি নিজ নামে ক্রয়কৃত ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা/সহায়তা প্রযোজ্য নয়। অর্থমন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনাই সার্কুরার জারির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিন ধরনের প্রবাসী বন্ড থেকে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। এর বাইরে ২ শতাংশ প্রনোদনা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোট ২২০ কোটি ১৫ লাখ টাকার প্রবাসী বন্ড বিক্রি হয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে; ১৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আর ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ হয়েছে ৪৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনিয়োগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ