নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলে খেলছেন জশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, ইশান্ত শর্মারা। দলের আশপাশে আছেন নবদীপ সাইনি, খলিল আহমেদ, মোহাম্মদ সিরাজরা। ভারতীয় পেস জাগরণ এখানেই থেমে থাকছে না। সে ইঙ্গিত পাওয়া গেল আইপিএলের রাজস্থান রয়্যালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে। কমলেশ নাগারকোটি ও শিবম মাভি- এই দুই পেসার যেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিলেন। পরশু দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল কলকাতা। মাভি-নাগারকোটির সামনে সেই রান করতে গিয়ে রাজস্থান করে ৯ উইকেটে ১৩৭ রান।
অথচ এই দলটাই এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়ে এসেছে। কী ছন্দেই না ছিলেন স্টিভ স্মিথ, সাঞ্জু স্যামসনরা। গত ম্যাচে যোগ দিয়েছেন জস বাটলারও। কিন্তু ১৭৫ রান করতে গিয়ে কি যেন হলো আইপিএলের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। ৩০ রানে স্যামসনকে সাজঘরে ফিরিয়ে যেন ধস নামালেন মাভি। এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়ে বসে রাজস্থান। চোখের পলকে ৩০ রানে ২ উইকেট থেকে ৬৬ রানে ৬ উইকেট নেই রাজস্থানের! তখন দেখার ছিল একটাই- কত বড় ব্যবধানে হারে প্রথম দুই ম্যাচ জেতা রাজস্থান।
ইংলিশ পেস বোলিং অলরাউন্ডার টম কারেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই লড়েছেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেছেন। কিন্তু তার এই লড়াই হারের ব্যবধান কমিয়ে আসা ছাড়া কোনো কাজে আসেনি। ৩৭ রানে জিতে মাঠে ছেড়েছে কলকাতা। রাজস্থানের ওপরের সারির ছয় ব্যাটসম্যানের চারজনের উইকেট নিয়েছেন দুই তরুণ পেসার মাভি (২/২০)-নাগারকোটি (২/১৩)। বাটলার, স্যামসন, রবিন উথাপ্পা, রিয়ান পরাগের উইকেট ভাগাভাগি করেছেন তারা। কলকাতার তরুণ পেসারদের পথটা দেখিয়েছেন রাজস্থানের ফাস্ট বোলার জফরা আর্চার। দেখিয়েছেন পেসারদের এই উইকেটে কোন লেংথে বল করতে হয়। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। মাভি ও নাগারকটির দুজনই খেলেছিলেন ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। ভারত সেবার জিতেছিল শিরোপা। যাতে অবদান ছিল এই দুই পেসারের। ভারতের সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আরেক ক্রিকেটার গিলও কলকাতা দলে বেশ ধারাবাহিক। ওপেনার হিসেবে পর পর দুই ম্যাচে রান করেছেন। এদিন করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রান।
একসময় যেটি ছিল নিয়মিত চিত্র, এখন সেটিই বড় ঘটনা। বলে লালা লাগানো নিষিদ্ধ হলেও আইপিএলের এই ম্যাচে সেই কাজটি করে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছেন উথাপ্পা। রাজস্থানের বাঁহাতি পেসার জয়দেব উনাদকাটের বলে কলকাতার ওপেনার সুনিল নারাইনের সহজ ক্যাচ ছাড়েন উথাপ্পা। এরপরই উথাপ্পাকে দেখা যায় শুরুতে বল ট্রাউজারে একটু ঘষে হাতে লালা নিয়ে বলে লাগাতে। একবারই অবশ্য দেখা গেছে তাকে এটি করতে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ক্রিকেটে যেসব নিয়মের সাময়িক পরিবর্তন এনেছে আইসিসি, তার মধ্যে একটি, বলে লালা লাগানো নিষিদ্ধ হওয়া। তবে বল উজ্জ্বল করতে ঘাম ব্যবহার করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, বলে লালা ব্যবহার করলে একটি দলকে দুইবার পর্যন্ত সতর্ক করে দিতে পারবেন আম্পায়াররা। বারবার করলে পেনাল্টি হবে ৫ রান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।