পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পুলিশ হেফাজতে মাসুদ রানা (৩৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মাসুদ রানা মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চড় বাকুটিয়া গ্রামের মৃত জলিল ব্যাপারীর ছেলে। তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকার ফয়সাল রোলিং মিলে কাজ করতেন এবং কাঁচপুরেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার স্ত্রীর নাম রেহানা আকতার। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে লেখাপড়া করে এবং ছোট মেয়ের বসয় মাত্র ১৮ মাস।
ঢামেক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে মাসুদ রানাকে নিয়ে আসেন পল্টন থানার এসআই এনামুল হক। এসআই এনামুল হক জানিয়েছিলেন, সে গুলিস্তান এলাকায় রাস্তায় অচেতন অবস্থা ছিল। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। রাত ১১টায় ঢামেকের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাসুদ রানার লাশ রাতে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে ঢামেক মর্গে রেখে যায়।
গতকাল এসআই এনামুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তবে মাসুদ রানার শ্বশুর আব্দুল মান্নান বলেন, গত মঙ্গলবার বিকালে মাসুদ রানাকে কাঁচপুরের সিনহা টেক্সটাইল এর সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে জানতে পারি, তাকে পল্টন থানায় আটক করে রাখা হয়েছে। আমার সঙ্গে ওই থানার এক পুলিশ সদস্যের কথাও হয়। এসময় আমি আমার মেয়ের জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা আমার সঙ্গে আর কথা বলাননি। পরে রাত ১১টায় সংবাদ পাই সে অসুস্থ, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে ঢামেকে এসে তার মৃত্যুর খবর পাই।
তার স্বজনরা জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তাকে ধরে নিয়ে নিযার্তন করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা। গতকাল সন্ধ্যায় মৃতের চাচাতো ভাই হানিফ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনায় একটি মামলা করার প্রস্তুতিও চলছে বলে জানান তিনি
ডিএমপির মতিঝিল জোনের এসি জাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, স্বজনদের অভিযোগ সত্য না। আমরা পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।