পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা হিসেবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ৭ দিনে ৮০৫ দশমিক ৭ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে। যার রফতানি মূল্য ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ১২০ ডলার। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে আটশ’ টাকা। এই দরে রফতানি করা প্রতিটি ইলিশের সাইজ এক কেজি থেকে ১২শ’ গ্রাম ওজনের।
মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও বেনাপোলের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবার নয়জন রফতানিকারককে মোট ১ হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার দরে মোট ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হবে। এ বছর ভারতে মোট ১ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি করা হবে। ইতোমধ্যে যশোরের শার্শার জনতা ফিস ৩২২ মেট্রিক টন, ঢাকার রিপা এন্টারপ্রাইজ ১৭৫ মেট্রিক টন, টাইগার ট্রেডিং ২১০ মেট্রিক টন, ইউনিয়ন ভেঞ্জার ১৭৫ মেট্রিক টন, গাজি ফ্রেশ সি ফুডস ২৭০ মেট্রিক টন, খুলনার জাহানাবাদ সি ফুডস ১৫০ মেট্রিক টন, চট্টগ্রামের প্যাসিফিক সি ফুডস ১৫০ মেট্রিক টন, পাবনার সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং লিমিটেড ১৫০ মেট্রিক টন ও বরিশালের মাহিম এন্টারপ্রাইজ ১৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করেছে। বেনাপোল কাস্টমস থেকে মাছগুলো ছাড়িয়ে রফতানির দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নিলা এন্টারপ্রাইজ।
সূত্র জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে ইলিশের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায়। কাস্টমস ও মৎস্য বিভাগ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেলে রফতানির অনুমতি প্রদান করেন। পর্যায়ক্রমে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ভারতে গেছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মহিতুল হক জানান, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে যাচ্ছেন। পরে সেখানকার বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে। কলকাতা ছাড়াও এই ইলিশ বিক্রি হবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। ভারতে ইলিশ রফতানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমের কমিশনার আজিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর গতবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে শুভেচ্ছা হিসেবে ৬ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০৭ টাকা কেজি দরে পাঁচশ’ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।