পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের উজানের ঢল অব্যাহত রয়েছে। এরফলে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-পদ্মাসহ অনেক নদ-নদীতে পানি আরও বাড়ছে। গতকাল সোমবার ৫১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পায়। এরমধ্যে ৭টি নদ-নদী ৮টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়। উজানের ঢলের তোড়ে তলিয়ে যাচ্ছে উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকা। ঢল-বানের পানি বৃদ্ধির সাথে সর্বত্র নদীভাঙন তীব্র। দফায় দফায় বন্যায় দিশেহারা বন্যার্তরা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচল, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন হিমালয় পাদদেশীয় অঞ্চলগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাছাড়া তিব্বতসহ চীন, নেপাল ও ভারতের বিহারেও হচ্ছে অতি বর্ষণ। আবার ভারত গঙ্গায় ফারাক্কাসহ উজানে অনেক বাঁধ-ব্যারেজ খুলে পানি ছেড়ে দিয়েছে। এরফলে ভারতের উজান থেকে আসা ঢলে মধ্য-আশি^নে অকাল বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে উত্তরাঞ্চল থেকে মধ্যাঞ্চল হয়ে ভাটি পর্যন্ত নদ-নদীসমূহে পানির তীব্র চাপ ও স্রোত বইছে।
পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র গতকাল জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদে পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মায় পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের নদ-নদীর ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৫১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪২টি পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। ৮টি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৭টি নদ-নদী ৮টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার নদ-নদীর ৬৪টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৩২টিতে হ্রাস পায়। শনিবার নদ-নদীর ৬০টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৩৬টিতে হ্রাস পায়। শুক্রবার ৬৬টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি, ৩২টিতে হ্রাস পায়।
গতকাল নদ-নদী প্রবাহের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র- যমুনা নদের পানি স্থিতিশীল হয়ে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনায় পানি বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদ কাজীপুরে ৫ ও সিরাজগঞ্জে ১৭ সে.মি. নিচে রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৩ সে.মি. উপরে, বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীর পানি আরও বেড়ে গিয়ে বিপদসীমার ৭৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চক রহিমপুরে করতোয়া নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬২ সে.মি. উপরে, সিংড়ায় গুড় নদীর পানি আবারও বেড়ে বিপদসীমার ৮৬ সে.মি উপরে, দিনাজপুরে পুনর্ভবা নদী বিপদসীমার ৩ সে.মি উপরে, নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪২ সে.মি. উপরে এবং মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থানে থাকা নদ-নদীসমূহের মধ্যে উত্তরাঞ্চলে গাইবান্ধায় ঘাগট নদী বিপদসীমার মাত্র ৬ সে.মি. নিচে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার যথাক্রমে ৬৮ এবং ২৬ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আত্রাই বাঘাবাড়ীতে ১৩ সে.মি. নিচে রয়েছে।
মধ্যাঞ্চলে ধলেশ্বরী নদীর পানি অপরিবর্তিত থেকে এলাসিন ঘাটে বিপদসীমার মাত্র ৫ সে.মি. নিচে রয়েছে। নওগাঁয় ছোট যমুনা বিপদসীমার মাত্র ৪ সে.মি. নিচে রয়েছে। নেপাল ও বিহারে অতিবৃষ্টি, ফারাক্কা বাঁধের গেইট খুলে দেয়ায় গঙ্গা-পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গোয়ালন্দে পদ্মা বিপদসীমার ১১ সে.মি. নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।