চলতি মাসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। সেখানেই মাসখানেক অনুশীলন শেষে সিরিজ খেলার কথা ছিল মুমিনুল হকের দলের। তবে শ্রীলঙ্কার কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের কঠোর কোয়ারেন্টিন বিধির মেনে সফর করতে রাজী হয়নি বিসিবি। বাংলাদেশের চাওয়া বিবেচনা করে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড একাধিক সভা করেছে তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। কিন্তু তাতেও ফল আসেনি। কোয়ারেন্টিনের সময় না কমানোয় তাই আর সফরটি করছে না বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কা সফর করতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সেখানে গিয়েই ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টিনের নিয়ম দিয়েছিল দেশটি। কোয়ারেন্টিনে রাজী হলেও বিসিবি চেয়েছিল, এই সময় সুযোগ দেওয়া হোক অনুশীলনের। কিন্তু কোয়ারেন্টিনের সময়কালে হোটেল কক্ষ থেকে বের না হওয়ার নিয়ম রয়েছে তাদের কোভিড-১৯ বিধিমালায়।
তবে পরবর্তীতে পরিস্থিতি ঠিক হলে এ সফর নিয়ে চিন্তা করবেন বলে জানান বিসিবি প্রধান, 'শ্রীলংকা আমাদেরকে সফরের বিধি-নিষেধ নিয়ে একটি শর্ত পাঠিয়েছিল। আমরা আমরা সেটি পর্যালোচনা করে দেখেছি ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকে সফর করা সম্ভব না। ওদের জানানোর পর তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে। কিন্তু ওদের সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। এটা মানতেই হবে। এই মুহূর্তে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকে সফর করা সম্ভব না। ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা থাকবে না ক্রিকেট খেলার। এজন্য আমরা সফরে যেতে রাজি নই। পরিস্থিতি যখন ভালো হবে তখন আমরা নতুন করে সফর নিয়ে ভাববো।'
কেন এই কোয়ারেন্টিন মেনে সফর করা সম্ভব না তাও ব্যাখ্যা করেছেন বোর্ড প্রধান, ‘সাধারণত কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন, দুইটা দুই জিনিস বলে আমরা ধরি। ওদের ওখানে ১৪ দিন আসলে আইসোলেশন। অন্যান্য জায়গায় যেটা কোয়ারেন্টিন আছে, সেটার সঙ্গে এটার পার্থক্য আছে। এটা পূর্ণ আইসোলেশন, ঘর থেকেই বের হতে পারবে না। এই অবস্থায় ১৪ দিন ঘরে থাকলে একজন ক্রিকেটারের শারীরিক অবস্থা তো পরে, মানসিক যে অবস্থা হবে, সেটি ফিরে পেতেই অনেক সময় লাগবে।’
‘এই অবস্থায় তাই আর সুযোগ নেই সফরের। আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। ওদের কিছু করার থাকলে আগেই করত, অনেক সময় নিয়েছে এমনিতেই। আর কিছু হবে না।’