মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটির অভিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আকারে বহিষ্কার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ধরপাকড় ও বিতাড়িত করার ঘটনা বেড়েই চলেছে। কঠোর হয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার নিয়মাবলিও। মূলত কাগজপত্রহীন মানুষ নির্বাচনী কঠোরতার টার্গেট হলেও বাদ পড়ছেন না গ্রিনকার্ডধারীরাও।
নির্বাচনের এই সময়ে আশ্রয়প্রার্থী কোনো বিদেশির মামলা খারিজ হলে তাকে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশিরাও এ আইনের শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে সব দেশের অভিবাসীরাই উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ২৪ সেপ্টেম্বর একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, কোনো মামলা বোর্ড অব ইমিগ্রেশন অ্যাপ্লাইসে (বিআইএ) হস্তান্তর হলে তারা মামলাটি পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন। আগে বিআইএ শুধু পর্যালোচনা করে নির্দিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতেন। এই নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে বেশিরভাগ আশ্রয় প্রার্থনা মামলা বিআইএ চাইলে খারিজ করে দিতে পারেন। এর অর্থ, যার মামলা খারিজ হলো তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে।
উইলিয়াম বার পরের দিন আরেক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তাতে বলা হয়, আশ্রয়প্রার্থীদের মামলায় বিশেষজ্ঞ সাক্ষীর ক্ষেত্রে বিচারকদের নির্দিষ্ট করে বলতে হবে শতকরা কতভাগ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সাক্ষীর ওপর। বিষয়টি মামলার রায়ে লিখিত আকারে থাকতে হবে। যেমন সাক্ষীর ওপর ৮০% বা ৫০% গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাক্ষীদের ওপর এভাবে শতকরা মূল্যায়নের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন। এটি খুবই হতাশাব্যঞ্জক বিষয়। অ্যাটর্নি জেনারেলের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো আদালত মানতে বাধ্য। ফলে এটি আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য খারাপ খবর।
নির্বাচনকালীন আইনের কড়াকড়ির কারণে উদ্বেগে থাকা এক অভিবাসী জানান, 'আমরা দুই প্রার্থীর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। অভিবাসী হিসেবে আমরা নিরাপত্তা চাই। তা ছাড়া আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর যাতে দমন-পীড়ন চালানো না হয় এবং তাদের ধরপাকড়ের আতঙ্কে রাখা না হয়, সে বিষয়ে আমরা স্পষ্ট ঘোষণা শোনার অপেক্ষায় আছি।'
আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারও নির্বাচনে অভিবাসন নীতি অভিবাসীদের মধ্যে প্রভাব ফেলবে। সম্প্রতি জরিপ থেকে দেখা গেছে, বাংলাদেশ, ভারতসহ এশীয় ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন জনপ্রিয়। তবে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেপর সমর্থন আগের বারের চেয়ে বেড়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে অভিবাসীদের বিষয়ে ট্রাম্প কঠোর অবস্থানে থাকলেও এবারের নির্বাচনী প্রচারে তিনি বেকারত্ব, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।